‘শিশুর খেলার পরিবেশ কমে আসছে’
তোফাজ্জল হোসেন : দেশে খেলার মাঠের সংকট বাড়ছে, বাহিরে খেলার জন্য শিশুর নিরাপত্তার অভাব, মানসম্মত সাহিত্যেরও অভাব রয়েছে। শিশুদের জন্য বিনোদনের আসল বিষয়টি হচ্ছে খেলাধুলা। শহুরে শিশুরা বাসায় আবদ্ধ হয়ে থাকে। সব মিলে শিশুর খেলার পরিবেশ কমে আসছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টকশো আজকের বাংলাদেশে ‘শিশুর মানসিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন তাদের উপযোগী অনুষঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় অতিথিরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন নাট্যব্যক্তিত্ব সারা জাকের, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন, দূরন্ত টিভির অনুষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলী হায়দার। বৃহস্পতিবার রাতের অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন অনিমেষ কর।
সারা জাকের বলেন, বাহিরের চ্যানেল আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে বিটিভিতে পরিবেশিত সিসিমপুর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে শিশুদের কাছে। সেটি শিক্ষামূলকও বটে। সেখানে বিনোদন আর শিক্ষা দু’টিই রয়েছে। বাচ্চারা হিন্দি চ্যানেল দেখে হিন্দি শিখছে। শিশুর বাংলা ভাষা শিক্ষাটিও বিনোদনের মাধ্যমে দিতে হবে।
আনজীর লিটন বলেন, শিশুদের জন্য সাহিত্য আগের চেয়ে আরো বেড়েছে। তবে মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শিশু সাহিত্য গড়ে উঠেছে প্রায় দু’শ বছর হয়েছে। তবে এখনকার শিশুর আর তখনকার শিশুর মনোযোগের জায়গাটিরও পরিবর্তন হয়েছে। তবে শিশুর মনোযোগ কতটুকু স্পর্শ করতে পেরেছে বর্তমানের সাহিত্য সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে, শিশু একাডেমি নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। শহুরে শিশু এবং গ্রামীণ শিশুদের সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা শিশুদের জন্য কাজ করছি। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি।
মোহাম্মদ আলী হায়দার বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের জন্য টেলিভিশনে দেখার মতো তেমন কিছু নেই। তারা মা-বাবা যা দেখে সেটিই দেখতে হয়। আর সেটি তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না, তখন সে ইউটিউবে চলে যায়। বিদেশি চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তবে শিশুর মানসিক বিকাশ কিভাবে হবে সেই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে অনুষ্ঠান নির্মাণ করা উচিত। তবে যা কিছু করুক টিভিগুলো সেখানে শিশুদের নিয়ে গবেষণা ভিত্তিক অনুষ্ঠান হওয়া উচিত। সম্পাদনা : তরিকুল ইসলাম সুমন]