চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ফের মহিউদ্দিন-নাছির দ্বন্দ্ব
মো. শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম : ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করার ঘোষণার ছয় মাসের মথায় আবারও দ্বন্দ্বে জড়ালেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিন। তবে এবার বিরোধের ইস্যু, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ নাগরিক সেবা।
সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বিএম মহিউদ্দিনের অভিযোগ, দলের সভাপতি হিসেবে আমি হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানোর জন্য সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে লিখিত চিঠি দেওয়ার পরও বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর ঘোষণা না দিয়ে উল্টো কথাবার্তা বলছেন। নগর আওয়ামী লীগের সভা থেকে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠাবো কেন্দ্রের কাছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি সব সময় জনগণের পক্ষে কথা বলে আসছি। কোনো জায়গায় অন্যায় অবিচার হলেই সেখানে কথা বলি। এটাকে অনেক বিরোধ মনে করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আন্তরিক। তাই চট্টগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রামের কোনো কোনো নেতার একক সিদ্ধান্তে দলের এবং সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন, দলের সভাপতি হিসেবে আমি তো বসে থাকতে পারি না। তিনি বলেন, পরো শহরে ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য হাঁটা যায় না। ময়লাদুর্গন্ধের জন্য বসবাসও করা কষ্ট হয়ে পড়ছে। মেয়র নাছির মহিউদ্দিন চৌধুরীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কর না বাড়লেও অপপ্রচার চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছেন অনেকে। আমি আইন তৈরি করিনি। গৃহকর বৃদ্ধি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মেয়র বলেন, জনগণ বোকা নয়। চসিকের গৃহকরের সঙ্গে আ.লীগের ভোট নির্ভর করছে না। খোলাবাজারে চালের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমি তাদেরকে বলছি, কোনো প্রকার অপপ্রচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে গৃহকর প্রদানে কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করুন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে দুই নেতার মধ্যে ভেতরে ভেতরে বিরোধ শুরু হলেও ১০ এপ্রিল লালদীঘি মাঠে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জনসভার পর বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে নগর থেকে শুরু করে থানাও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মাঝে। এরপর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে দুই নেতাই নগরীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক মঞ্চে হাতে হাত রেখে বক্তব্য দিয়ে দুইজনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করার ঘোষণা দেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান