‘নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতা চিহ্নিত করবে সেনাবাহিনী’
ফাহিম ফয়সাল : রাজনৈতিক কাজে সেনাবাহিনী ডেকে আনাটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতা চিহ্নিত করবে। ৭১ টেলিভিশনের বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা গত শুক্রবার বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ টকশোতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা প্রতিষ্ঠান চালাবে, সংবিধান পরিবর্তন করবে, নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবে, বিচার বিভাগ পরিচালনা করবে, আইনসেবা পরিচালনা করবেÑ অথচ নির্বাচনের সময় এলে তাদেরকে অরাজনৈতিক ব্যক্তি খুঁজতে হবে, সেনাবাহিনী খুঁজতে হবে। এই সংস্কৃতি কোনোভাবেই সুস্থ সংস্কৃতি নয়।
টকশোতে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শফিক বলেন, ইসির সঙ্গে সংলাপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটা নির্বাচন করা। যে নির্বাচনে সকল ভোটার নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। ঢাকার জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমাদের নাক পর্যন্ত পানি উঠে যায়, তখন আমরা আশ্রয়ের জন্য যাই। এই বর্ষণ যেকোনো সময় হতে পারে। যে সমস্যা আছে, সেটা অনুধাবন করে প্রস্তুতি নিতে হবে। শুকনো মৌসুমে কেনো সড়ক সংস্কার করা হয় না? ওয়াসা রাস্তা কেটে চলে যাচ্ছে, তারপর আসছে ডেসা। ডেসা কাজ সেরে চলে যেতে না যেতেই আরেকজন আসছে। পরিকল্পনাবিদরা কি এসবের সমন্বয় করতে পারেন না। আমাদের দেশে এসব কাজের সঙ্গে একটা বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট জড়িত।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বিরামহীন বৃষ্টি হলে যেকোনো বড় শহরে জলাবদ্ধতা হতে পারে। জাপানেও এ ধরনের জলাবদ্ধতা দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় কয়েকদিন টানা জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। ঢাকায় মানুষ বেশি, যানবাহন বেশি। তাই দুর্ভোগও বেশি। ঢাকার চারপাশের জলাভূমি আমরা ভরাট করে ফেলেছি। ঢাকাকে জনসংখ্যার চাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে ছোট-বড় ড্রেন আছে, সেগুলোয় পানি প্রবাহ আছে। আমাদের দেশে ড্রেনে ময়লা ফেলে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের কোনো খাল ওয়াসার নিয়ন্ত্রণ করে, কোনো খাল সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণ করে। একই কাজ দশটা প্রতিষ্ঠানের হাতে। এর সমন্বয় করতে হবে। শুধু পরিকল্পনা করে সরকারি উদ্যোগে জলাবদ্ধতা দূর করা যাবে না। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য সবার প্রচেষ্টা দরকার। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত। কিন্তু প্রতিটি কাজের জন্য মেয়রকে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয়। এটা বাদ দিতে হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী