কৃষিপণ্যের উপযুক্ত বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিতে সিলেটে নির্মাণ হচ্ছে ৪টি অ্যাসেম্বল সেন্টার
মতিনুজ্জামান মিটু : কৃষিপণ্যের উপযুক্ত বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিতে সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৪টি অ্যাসেম্বল সেন্টার এবং সিলেট শহরে একটি অফিস কাম প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ‘সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই নির্মাণ কাজ করছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়েছে বলে প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) শাহনাজ বেগম নীনা জানান।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় মূলত ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। আগামী ২০১৯ সালের জুন মাসে ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। আশা করা যায় নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউন্দা বাজার, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রানির বাজার, সিলেট সদরের গোলাপগঞ্জের পুরকায়স্থ বাজারে ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের পলাশ বাজারে ৭২০০ বর্গফুটের অ্যাসেম্বল সেন্টারগুলো নির্মাণ করছে এলজিইডি। প্রকল্পের আওতায় সিলেট শহরে ১১ শতক জমির উপর ৩ হাজার বর্গফুটের তিনতলা অফিস কাম প্রসেসিং এন্ড ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রতিটি অ্যাসেম্বল সেন্টারে পাকা মেঝের ওপর ছাদ, একটি অফিস কক্ষ, বাথরুম, ৩ ফুট বাই ৩ ফুট এর তিনটি হাউজ থাকবে। এটি বাস্তবায়ন হলে কৃষক একটু ছায়াতলে বসে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে পণ্য বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ওই প্রকল্পের আওতায় বাজার ব্যবস্থাপনা, ফসল কর্তনোত্তর প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা বিষয়ে ৭ হাজার ৯০০ জন কৃষক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং ৩৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই সঙ্গে সিলেটের চার জেলার ৩০টি উপজেলায় ১৫০০ কৃষক-ব্যবসায়ী সমন্বয়ে গঠন করছে ১৫০টি স্বপ্রণোদিত মার্কেটিং দল। গৃহপর্যায়ে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ কার্যক্রম উদ্বুদ্ধকরণের সুবিধার্থে ৩০টি খাদ্য প্রদর্শনী আয়োজন করবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ২০টি আঞ্চলিক ওয়ার্কশপ এবং দুইটি জাতীয় সেমিনার হচ্ছে।
২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ কৃষিপণ্যের চাহিদা, সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থা সার্ভে করে একটি ডাইরেক্টরি তৈরি করেছিল। ওই ডাইরেক্টরি হালনাগাদ করতে এই প্রকল্পের আওতায় সিলেট ও চট্টগ্রামে জরিপ করা হচ্ছে। সিলেট ও চট্টগ্রামের পর ঢাকায় জরিপ শুরু হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ