আন্দোলন ছাড়া শ্রমিক স্বার্থের পক্ষে আইন অর্জিত হবে না
Ñমনজুরুল আহসান খান
রফিক আহমেদ : শ্রমিকনেতা মনজুরুল আহসান খান বলেছন, আন্দোলন ছাড়া শ্রমিক স্বার্থের পক্ষে আইন অর্জিত হবে না। অতীতে শ্রম আইনে শ্রমিক স্বার্থের পক্ষে যা কিছু অর্জিত হয়েছে তার জন্য এদেশের শ্রমিক শ্রেণিকে বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এখন এসে একের পর এক শ্রমিক আন্দোলনের সেসমস্ত অর্জন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মনজুরুল আহসান খান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক শ্রম আইন আদায় করতে হলে শ্রমিকদের জীবনপন লড়াই করতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো মজুরির প্রশ্নে শ্রমিকরা যতটা সচেতন, আইনের প্রশ্নে শ্রমিকদের সচেতনতার অভাব ততটাই। শ্রমিকদের সচেতন করে আন্দোলন না গড়ে উঠলে অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এ কারণেই বিপ্লবী ধারার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, নিবন্ধন ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের আওয়াজ তুলতে হবে।
শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের জন্য ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠিত হলেও সরকার শ্রমিক পক্ষকে না জানিয়েই সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। সরকারের এই গর্হিত কাজ থেকে এটাই অনুমান হয় যে, শ্রম আইনের আসন্ন সংশোধন শ্রমিক স্বার্থবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল হবে।
আলোচনা সভার শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার। সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাড. নেসার আহমেদ, মাহাবুব আলম, কাজী রুহুল আমীন, আসলাম খান, আহসনা হাবিব বুলবুল ও রাজু আহমেদ প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা বলেন, প্রচলিত শ্রম আইনে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া এবং যৌথ দরকষাকষির অধিকার সঙ্কুচিত এবং কাঠামোগতভাবে মালিক ও আমলাদের সন্তুষ্টির দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করার হাতিয়ার হিসেবে শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা ব্যবহার হচ্ছে। একইভাবে ইপিজেড এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পৃথক আইনে রোহিত করা হয়েছে। সম্পাদনা : নূর মোহাম্মদ