টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির ‘মূল স্তম্ভ’ বাংলাদেশ
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’র মূল স্তম্ভ হিসাবে বাংলাদেশকে আখ্যা দিয়েছে ভারত থেকে বহুল প্রচারিত পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে এই উপাধি দিয়েছে ভারতের শীর্ষ এই সংবাদ মাধ্যমটি। অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি সেই বিশেষ কর্মকৌশল, যার মাধ্যমে ভারত আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি জাপান, ভিয়েতনাম আর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তিতে নিজেদের অর্থনৈতিক উত্থান নিশ্চিত করতে চায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির অধীনে আঞ্চলিক ফ্রন্টলাইন অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১০ সাল থেকে তারা মোট ৮০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিবিআইএন, বিমসটেকসহ আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের ক্ষেত্রে ঢাকা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই রাখছে এমন নয়, বালাদেশ হলো ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসিরও মূল পিলার বা স্তম্ভ।
মূলত অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) অঞ্চলের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজ করতেই ইস্ট অ্যাক্ট নীতির সূচনা হয়েছিল। তবে এখন তা রাজনৈতিক, কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক মাত্রা পেয়েছে। দেশীয় ক্ষেত্রে সরকার সড়ক, রেল, অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহন, বিদ্যুৎ, বিমানবন্দর এবং টেলিকম সংযোগের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জটিল পরিকাঠামোগত প্রকল্প সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ওই নীতির আওতায়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ