বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট নিতে জুম ব্যবহার করতে পারবেন না
আরিফ আহমেদ : সরকারিভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশে জুম সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয় বৃহস্পতিবার। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কনফারেন্সে বলেন, জুম ব্যবহার করে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আরো দ্রুত এবং সহজে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পেমেন্ট আনতে পারবেন। তবে জুমের ইউজার এগ্রিমেন্ট বলছে ভিন্ন কথা। জুমের ইউজার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী যেকোন রকম ব্যবসায়িক লেনদেন এবং সার্ভিসের বিনিময়ে পেমেন্ট করা নিষিদ্ধ। কেউ এই ধরণের লেনদেন করলে কর্তৃপক্ষ ইউজার একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয় ইউজার এগ্রিমেন্টে। (যঃঃঢ়ং://িি.িীড়ড়স.পড়স/ঁংবৎ-ধমৎববসবহঃ#ৎবংঃৎরপঃরড়হং) অতএব বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে পেমেন্ট নেয়ার জন্য জুম ব্যবহার করতে পারবেন না। মশিউর রহমান নামের একজন ফ্রিল্যান্সার ইমেইল বার্তায় জানান, সরকারি কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় খরচে একাধিকবার পেপ্যাল জুমের অফিসে ঘুরে আসলেন, অথচ এতোটুকু জানলেন না যে জুম-এর মাধ্যমে শুধুমাত্র আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে ব্যবসায়িক লেনদেন করার সুযোগ তারা দেয় না। তিনি দাবি করে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুমকে পেপ্যালের সাথে মিলিয়ে ঘুলিয়ে একাকার করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পেপ্যাল বলতে পেপ্যালের ই-ওয়ালেট সার্ভিসকে বোঝায়। অপরদিকে জুম সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটা কোম্পানি ছিল, যা কিছুদিন আগে পেপ্যাল কিনে নিয়েছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেপ্যাল দরকার। কারণ ক্লায়েন্টরা বেশিরভাগ পেপ্যাল ব্যবহার করে এবং পেপ্যালে পেমেন্ট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাংলাদেশে জুম-পেপ্যাল কানেক্টিভিটির উদ্বোধন এবং ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কনফারেন্স করা ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং বিভ্রান্তিমূলক। তথ্যসূত্র- মানবজমিন, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ