মিয়ানমারের পরিকল্পিত আক্রমণের শিকার বাংলাদেশ : আমির খসরু
মাঈন উদ্দিন আরিফ : রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী নির্মূল করতে মিয়ানমার সরকার পরিকল্পিতভাবে তাদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে মন্তব্য করে একে এক ধরনের আক্রমণ হিসেবে বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এবার রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই সরকার যথাযথ কূটনীতিক অবস্থান না নিয়ে সমস্যাকে দুর্বল করে দিয়ে সমাধানকে কঠিন পর্যায়ে নিয়ে গেছে বলেও বলেন তিনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক আইনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা, সমাধান ও করণীয়’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, যে দেশ (মিয়ানমার) তাদের দেশের একটি জাতিগোষ্ঠীকে নিধন করতে বাংলাদেশকে টার্গেট করে রোহিঙ্গাদের পাঠিয়েছে, তারা খুব ভালো করে জানে- এরা কেউ ভারতে যেতে পারবে না, থাইল্যান্ডে যেতে পারবে না, এরা কেউ চীনেও যেতে পারবে না। তিনি বলেন, যেখানে আমার দেশ মিয়ানমারের পরিকল্পিত আক্রমণের শিকার, সেই দেশ যখন পরিকল্পনাকারী দেশের সাথে এক সুরে গান গায়, এক সুরে কথা বলে- সেখানেই তো আমাদের অবস্থান শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, যদি প্রথম দিন থেকে আপনার (সরকার) অবস্থান মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াতেন, কূটনৈতিক অবস্থান নিতেন এবং সাথে সাথে আপনি মানবিক অবস্থান নিতেন তাহলে বিশ্বের সামনে আমাদের অবস্থান ভিন্ন হতে পারত। বাংলাদেশের জনগণ এই ইস্যুতে একতাবদ্ধ ছিল। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলেছি, এখানে কোনো রাজনীতি নয়, আমাদের সবাই একতাবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই (রোহিঙ্গা) সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। দু-দুবার এই সমস্যা বিএনপি সমাধান করেছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) তো সহযোগিতা নেবে না। কারণ সমস্যার মূল যেখানে, সেখানেই তারা এটা শেষ করে দিয়েছে। যেখানে সমাধানের মূল ছিল, তারা সেখানে ভ্রান্ত পথে চলেছে। ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বিএনপি সফল হয়েছিল। বর্তমান সরকার ভ্রান্ত পথে চলেছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ