দুদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজধানী জনদুর্ভোগ, সমুদ্র বন্দরে সতর্কবার্তা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নগরীর নিচু এলাকার অলি-গলিসহ বেশকিছু এলাকার প্রধান সড়কে পানি জমে গেছে। এতে যানবাহন চলাচলসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অনেক এলাকায় রাস্তার উন্নয়নের জন্য নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেয়ায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। আর খানা খন্দের কারণে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশ দিয়ে পথচারীরা চলতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গতকাল শনিবার দিনভর রাজধানীতে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টি শনিবার সারা দিন ও রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আজ রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি কমে যেতে পারে। অপরদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
নগরীর জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। স্বল্প দূরত্বে রিকশায় চলতে গিয়ে বেশিরভাগ যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান সড়কে পানি জমে যাওয়ায় মগবাজার, মালিবাগ, মিরপুরসহ বেশ কিছু এলাকার জনপ্রিয় যানবাহন লেগুনা চলাচল করেছে খুবই কম। যাও চলাচল করেছে ওইসব লেগুনার যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিমউদ্দিন রোড, মতিঝিল, বঙ্গভবনের দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশের সড়ক, ধানম-ি ২৭ নম্বর সড়কে বেশি পানি জমেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। সড়কের ম্যানহোল এবং নিষ্কাশন নালার পিটগুলো খুলে দেওয়ার কাজ করেছে সিটি করপোরেশন।
এছাড়া যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, কাজলা ও ডেমরা, আজিমপুর, নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন সড়কেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্নস্থানের দুই পাশেই পানি জমে রয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে মালিবাগ থেকে মৌচাক ফুটপাত ছিল হকার শূন্য। চা বিক্রেতা আলম বললেন, খুবই খারাপ দিন যাইতাছে, কালকেও বিক্রি নাই, আজ হবে বলে মনে হইতেছে না।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাতগুলোতে কাপড়-চোপড়ের পসরা নিয়ে দোকান বসলেও কোনো মানুষজন নেই। মধ্য বাড্ডার বাসিন্দা মাসুদ আলম বলেন, বাসার সামনে কোমরসমান পানি। তা ডিঙ্গিয়ে মেইনরোডে এসে দেখি গুলিস্তান রুটের বাস নেই। অফিস ধরতে হবে, অন্য রুটের বাস ধরে যাচ্ছি। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত