রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে এসেছে : ডিএমপি কমিশনার
সুজন কৈরী : সম্প্রতি রাজধানীতে সংগঠিত ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল শনিবার ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার জানান, সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম কিছুটা বেড়েছে। তবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে যে ছিনতাই হয়েছে সেটি সেপ্টেম্বরে আরও কমে এসেছে। আর অক্টোবরে সেটি এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। এর আগে ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা পুলিশের কাজ না। পুলিশ দেশের মানুষের নিরাপত্তা, সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমাদের পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক ও হাবিলদারের মধ্যে অনেকের সন্তান আছে মেধাবী। আর্থিক অভাবে তাদের সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়াতে পারছে না। বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হলো।
কমিশনার আরও বলেন- অর্থের অভাবে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে- এটা হতে দেওয়া হবে না। এই শিক্ষাবৃত্তিকে চলমান রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করব। যাতে করে যুগ যুগ এই বৃত্তি চলমান থাকে। আপনাদের কল্যাণের জন্য সম্ভাব্য সকল ধরনের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করব। আমার ফোর্স আমার সন্তানের মতো। আমার পরিবারের জন্য যেমনটি আমি করি, ঠিক আপনাদের জন্যও আমি তাই করব। ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে কমিশনার তাদের সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেন।
পুলিশ পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ৬৫৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের ডিএমপি এর শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালের পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করায় ও উচ্চশিক্ষা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে তিন ক্যাটাগরিতে ৬৫৯ জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তিতে মোট ৯১৫ জন আবেদন করেন। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে ৬৫৯ জনকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ