দ. সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের গলারকাটা জলাবদ্ধতা
ফারুক আলম : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড। নানাবিধ সমস্যা নিয়ে বসবাস করছেন এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এক কথায় বলা চলে এ ওয়ার্ডের গলারকাটা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা সমাধানে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ফলপ্রসূত লাভ হচ্ছে না।
এলাকায় কোনো খেলার মাঠ, সরকারি কাঁচাবাজার, কাউন্সিলরের স্থায়ী কার্যালয় কিংবা কমিউনিটি সেন্টার নেই। অন্যদিকে আছে মাদক ব্যবসার সমস্যা। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান চিত্র এমনই। সম্প্রতি ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ২৬ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব সমস্যার কথা জানা যায়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। এমনকি হাঁটার সময় নাকে ভেসে আসে তীব্র দুর্গন্ধ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা পানি ঠিকমত নিষ্কাশন হচ্ছে না।
ছেলেমেয়েদর খেলাধুলা করার মত তেমন মাঠ নেই।
এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বললেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। বেলাল হোসেনের দেয়া তথ্য অনুসারে ওই সড়কগুলোতে গিয়ে এর সত্যতা মিলল। দেখা গেল, পিচ ওঠা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাই কষ্টকর। স্কুলের সামনের সড়কেও জমে থাকা পানি পথচলতি মানুষের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বললেন, বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে নালা-নর্দমার নোংরা পানি উঠে আসে। দু-এক ঘণ্টা পর পানি নেমে গেলেও দুর্গন্ধ থেকে যায়। একই সড়কের একটি চায়ের দোকানে বসে কথা হচ্ছিল এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া চার তরুণের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, গত বছর অনেক বিষয়ে উন্নতি হলেও এই ওয়ার্ডে মাদকের সমস্যা রয়ে গেছে। তাদের বন্ধুদের অনেকেই তিনটি স্থান থেকে ইয়াবা ও গাঁজা সংগ্রহ করে।
তরুণদের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, মাদকের সমস্যা এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গেছে। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানালেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।
ওয়ার্ডের নানা সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা সত্য যে ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি নিষ্কাষণ। বৃষ্টি হলেই ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোতে পানি জমে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় ময়লা রাস্তার উপরে দেখা যায়। এমনকি আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনেও পানি জমে থাকে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরও বলেন, মাদকের সমস্যা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। আমি বলব, এর ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাকিটুকুও যাতে না থাকে তার জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে আমরা পুলিশের যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। এখন তো মাদকের কোন স্থায়ী জায়গা নেই। ভাসমান অবস্থায় মাদক বিক্রি হতে পারে তা আমার জানা নেই।