‘টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন’
তাসকিনা ইয়াসমিন : টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। টেন্ডার প্রক্রিয়া আমাদের দেশের দুর্নীতির আরেকটি উৎস। গতকাল রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ইলেক্ট্রনিক টেন্ডারিং (ই-টেন্ডারিং) প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা উচিত। এই প্রক্রিয়ায় প্রধান এবং সাপোর্টিং টেন্ডারের প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে তথাকথিত সমঝোতা হচ্ছে। এই সমঝোতার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকের নিকট অভিযোগ আসে।
তিনি বলেন, সমঝোতা হতে পারে, তবে তা হতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে। তিনি সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা আনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মার্কেটে যদি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে পণ্য উৎপাদনে সৃজনশীলতা আসবে, মানসম্পন্ন পণ্যের জোগান বাড়বে, দ্রব্যমূল্য কমবে, জনগণের ভোগান্তি হ্রাস পাবে, আবার কেউ ব্যবসার নামে অনুপার্জিত আয় করতে পারবে না। মার্কেটে যদি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায় তাহলে মানুষের পকেট কেটে অনুপার্জিত আয় করার পথ সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। অনুপার্জিত আয় কমে আসলে দুদকের কাজও কিছুটা সহজ হয়ে যাবে।
এসময় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ ব্যাপারে তার কোনো মন্তব্য নেই।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল খান চৌধুরী বলেন, এটি একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা দুদকের তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, আমরা দুদকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে চাই। হঠাৎ করে চালের দাম বা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কিছু লোক দ্রুত ধনী হতে চায়। এসকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন হস্তক্ষেপ করবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ