ডেমরায় গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন ডেমরার একই পরিবারের ৭জনসহ ৮জন। এতে দগ্ধ হন গৃহকর্তা আলমগীর হোসেনসহ তার স্ত্রী, ৩ ছেলে, ভাতিজা ও তার স্ত্রী এবং পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া। আলমগীর হোসেন জানান, গত কোরবানির ঈদের আগের দিন তারা ডেমরা ডগাইর এলাকার আলআমিন রোড মসজিদ এর পাশের আব্দুস সাত্তারের ওই বাসার ২য় তলায় ভাড়ায় ওঠেন। ৫ রুমের ওই বাসায় একরুমে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। পাশের রুমে থাকতো বড় দুই ছেলে। আরেক রুমে তার ভাতিজা স্ত্রীসহ, অন্য রুমে আরিফ থাকতো। তার পাশের রুমে আরেকটি পরিবার থাকে।
তিনি জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে কাজ শেষে বাসায় আসেন তিনি। এরপর ফ্যানের সুইস দিলে একটি গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিসের গন্ধ জানতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন, ফ্যানের কয়েল কেটে গন্ধ বের হচ্ছে মনে হয়। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ একটি বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে সবার। সঙ্গে সঙ্গে একটি আগুনের কুন্ডুলি তাদেরকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপরই সবার হাত পায়ে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। ২য় তলার কেচিগেটের তালা ভেঙে তারা সবাই নিচে নেমে যায়। বিস্ফোরণে ২য় তলার এক পাশের দেয়াল ধসে গেছে বলে জানান আলমগীর হোসেন।
এদিকে আলমগীরের স্ত্রী দগ্ধ ফেরদৌসি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩দিন ধরেই বাসার ভেতর সব সময় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেতো। এরপর কয়েকবার বাসার মালিক আব্দুস সাত্তারকে বিষয়টি জানানো হয়। সেসময় মালিক তাদের জানান, বাসার ৩য় তলায় যখন গ্যাস লাইন দেয়া হবে তখন তাদের বাসার লাইনও মেরামত করে দেয়া হবে।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, আলমগীরের শরীরের ৮ শতাংশ, ফেরদৌসির ৬, ইমনের ৯, শিপনের ২০, তাসিনের ৪, তোফায়েলের ৯, রতœার ৪৬ ও আরিফের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু তাসিন বাদে সবাইকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের ৭জনেরই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। রতœাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও বাকিদেরকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু