বাইরে থেকে যারা আসে তাদের কাছে গণতন্ত্রহীনতার কথা বলি : ফখরুল
কিরণ সেখ : গণতন্ত্রের মুখোশ পরে যারা গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা মিথ্যা বলছে, জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। সেজন্য বাইরে থেকে যারা আসে তাদের কাছে দেশে গণতন্ত্রহীনতার কথা বলি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। জাতীয় বীর অলি আহাদ ও চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের স্মরণে এই সভার আয়োজন করে গণসাংস্কৃতিক দল। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে কারো দয়া চাইবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বুকের রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তবে এর জন্য সবাইকে গণতন্ত্রের জন্য রুখে দাঁড়াতে হবে। আজকে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেয় না। এমনকি ঘরের মধ্যে মিটিং করতে দেওয়া হয় না। এই জন্যই আমরা অধিকার ফিরে পেতে গণতন্ত্র চেয়েছি। আমরা বলি না আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আপোস করেননি বলেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৯টি মামলা দেওয়া হয়েছে, তাকে প্রতি সপ্তাহে একদিন হাজিরা দিতে হচ্ছে। এখন কঠিন দুঃসময় চলছে। এটা শুধুমাত্র খালেদা জিয়া বা অন্য কারোর জন্য নয়, এটা সমগ্র দেশের মানুষের জন্য কঠিন সময়।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন। তার অনেক ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। তবে এই কথাটি তো সত্য, তিনি আরাম-আয়েশ ছেড়ে দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, আজকে এই স্বৈরাচারী সরকার জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। তারপরেও খালেদা জিয়া এতটুকু আপোষ করেননি। আত্মসমর্পণ করে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দেশের চিত্রই ফুটে উঠেছে। ভবিষ্যতেও তিনি কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস করবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একদলীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে চায়। প্রধান বিচারপতি আর বক্তব্যে লিখেছিলেন ‘আমিত্য’। এই কথাটি আমি এর আগেও বলেছিলাম ‘আমি’ ছাড়া আর কেউ নেই, এই ‘আমিত্য’ ভাবটিই পুরো বাংলাদেশকে পাল্টে দিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশের নেতাদের নিয়ে কার্টুন হয়। আমাদের দেশে করা যাবে না। ৫৭ ধারায় আটকা পড়ে যাবেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু