কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা দূরে রাখা ইসির দায়িত্ব নয় : সুজন সম্পাদক
এনামুল হক : রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনের আলোকেই তারা তাদের প্রস্তাবগুলো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ভিন্ন। তাদের উদ্দেশ্য কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা নয়। একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই তাদের দায়িত্ব। টিভিএনএ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে প্রয়োজন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন। এর জন্য নির্বাচন কমিশনকে এখনই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অচল এবং সাংঘর্ষিক অবস্থা চলছে, এটা অব্যাহত থাকলে আমরা ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। যে নির্বাচন আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি বরং আমাদের সামনে অনেকগুলো সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
বদিউল আলম বলেন, ক্ষমতাসীন দলও বলছে, তারা সবার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায়। তাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সমস্যা সমাধানে পৌঁছতে হবে। যদি আরেকটি একতরফা নির্বাচন আমাদের দেখতে হয় তা দেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। আমরা আশা করবো আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে কমিশনকে সহায়তা করবেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দলীয়করণের অভিযোগ আছে। এটা শুধু অভিযোগ নয় বরং বাস্তবতা। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো সেনাবাহিনী মোতায়ন করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন করা নয়। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যে নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিবে এবং নির্বাচনটি হবে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে। এই দায়বদ্ধতা পূরণে যেই প্রস্তাবগুলো সহায়ক, তা তারা গ্রহণ করবে এবং যেগুলো সহায়ক নয় তা তারা বর্জন করবে। যে প্রস্তাবগুলো নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে সেগুলো তারা সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠাবে। সরকার এ বিষয়ে বাস্তবতার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সম্পাদনা : নূর মোহাম্মদ