আবারো জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ‘এখন আমার সবচেয়ে জরুরি কাজ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংকট নিরসন’
কামরুল আহসান : দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার ছিল তার পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য। এর জন্যই তিনি আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন। প্রত্যাশিত ভোটের চেয়েও অনেক বেশি ভোট পেয়ে শিনজো আবে সুপার মেজরিটি নিয়ে আবারো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন। বিজয়ের পর গত রোববার তিনি নিজের খুশি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা জাপানের জনগণের শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছি, আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি, সত্যিই আমরা বিস্মিত আর সবার প্রতি কৃতজ্ঞ’। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ ডায়েট-এর ৫৬৫টি আসনের মধ্যে এলডিপি জোট পেয়েছে ৩১৩টি আসন। যা গতবারের চেয়ে দুটি বেশি। এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিনজো আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই প্রথমবারের মতো পরপর তিনবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
মূলত উত্তর কোরিয়ার সংকট নিরসনের জন্যই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বিজয়ী হবার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন, ‘এখন আমার সবচেয়ে জরুরি কাজ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংকট নিরসন। উত্তর কোরিয়ার সংকট মোকাবিলায় যা করার আমি করবো। আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানে সফরে আসছেন, এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতিরিক্ত মিত্র সম্পর্ক ভালো চোখে দেখছে না জাপানের একাংশ। অনেকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা দেখাতে গিয়েই জাপান উত্তর কোরিয়ার শত্রু হয়ে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে ছুঁড়লেও আবে তা নিয়েও খুব একটা উচ্চবাচ্য দেখাননি। তাই আবের বিরোধী দলের অভিযোগ, তিনি সবকিছুর জন্য মার্কিন নীতিরই মুখ চেয়ে আছেন। বিবিসি, গার্ডিয়ান, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ