তাওবার ফযিলত
হুমায়ুন আইয়ুব
তাওবা শব্দের অর্থ : প্রত্যাবর্তন করা, ফিরে আসা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, অনুতাপ করা। কোনো পাপকাজ সংঘটিত হওয়ার পর অনুতাপ-অনুশোচনা করে সেই পাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং সেই পাপকাজ ছেড়ে ভালো কাজে ফিরে আসাকেই তাওবা বলে।
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, যারা তাওবা করে, ঈমান আনয়ন করে এবং ভালো কাজ করে আল্লাহ তা’য়ালা তাদের খারাপ কাজগুলোকে ভালো কাজ দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আর যারা তাওবা করে এবং নেক কাজ করে আল্লাহর প্রতি তাদের তাওবাই সত্যিকারের তাওবা (সূরা ফুরকান-৭০/৭১)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, যাতে করে তোমরা সফলকাম হতে পারো (সূরা নূর-৩১) এ আয়াতে মহান আল্লাহ মুমিন বান্দাদের সফলকাম হওয়ার জন্য আহ্বান করেন তাওবার মাধ্যমে। কারণ আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রভু তিনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন।
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে আরও বলেন, তারা কি আল্লাহর দিকে তাওবা করে ফিরে আসবে না এবং তাদের গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা চাইবে না? অথচ আল্লাহ তো ক্ষমাশীল এবং মেহেরবান। (সূরা মায়েদা-৭৪) মহান আল্লাহ আরো বলেন, হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা খালেস দিলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এসো। আশা করা যায়, আল্লাহ তোমাদের ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি মার্জনা করে দেবেন এবং সেই জান্নাতে স্থান দেবেন। যার পাদদেশ দিয়ে ঝরনাধারা প্রবাহিত। (সূরা তাহরীম-৮) আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন, আল্লাহর কাছে তাদের তাওবাই সত্যিকারের তাওবা, যারা অজ্ঞতাবশত খারাপ কাজ করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাওবা করে। আল্লাহ তা’আলা তাদের তাওবা কবুল করেন। আল্লাহ তো মহাজ্ঞানী ও হেকমতওয়ালা (সূরা নিসা-১৭)
হযরত মূসা আ. অনিচ্ছায় প্রকাশিত কিবতী-হত্যার ঘটনার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর যুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা কাসাস-১৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আমি প্রতিদিন ১০০বার তাওবা করে থাকি। (মুসলিম) সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন