ইউনুসসহ সুশীল সমাজ বিদেশিদের গোলামীতে ব্যস্ত : জয়
আরিফুর রহমান তুহিন : পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন প্রত্যাহারে ইউনুস হিলারি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ইউনুসসহ দেশের সুশিল সমাজের লোক বলে আমরা যাদের শুনি তাদেরকে কখনোই দেশের প্রশংসা বা উপকার করতে দেখা যায় না। তারা বিদেশিদের টাকায় দেশে এনজিও সেমিনার করে, অর্থ উপার্জন করে আর দেশের সম্মান বিদেশিদের কাছে নষ্ট করে। মূলত তারা বিদেশিদের গোলামীতে ব্যস্ত। গতকাল রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘সুচিন্তা’ আয়োজিত ‘রাজনীতিতে সত্যমিথ্যা: পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা’ শির্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব বলেন।
জয় বলেন, ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নরওয়েতে ১০০ মিলিয়ন অর্থ পাচার করে। যেটা নরওয়ের একটি টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। পরে নরওয়ে সরকার আমাদের চিঠি দিয়ে জানায় তারা টাকা ফেরত পাঠিয়েছে। তারা মূলত ৩০ মিলিয়ন টাকা ফেরত পাঠিয়েছিল। বাকিটা দেয়নি। যখন আমরা পদ্মাসেতু করার জন্য প্রকল্প হাতে নেই এবং বিশ্বব্যাংক এতে অর্থায়নের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় তখন ইউনুস হিলারিকে ফোন দেয়। হিলারি বিশ্ব ব্যাংককে জানায়, বাংলাদেশকে শাসাতে হবে, তারা আমাদের কথা শুনছে না। সেখানে অর্থায়ন স্থগিত কর। তাদের ধারণা ছিল আমরা হিলারি, ইউনুস ও বিশ্বব্যাংকের হাতেপায়ে ধরবো। কিন্তু তারা জানে না, ইউনুস ও সমমনা সুশীল সমাজ বিদেশিদের গোলাম হতে পারে কিন্তু শেখ হাসিনা বিদেশিদের গোলাম না।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ব্যাপারে জয় বলেন, আমরা শুধু অনুমান করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমাদের মেধা আছে। আমরা অঙ্ক করে দেখছি নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু করলে আমাদের অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হবে না। কিন্তু শিক্ষিত সুশীল সমাজ এটা নিয়েও সমালোচনা করেছিল। তারা বলেছিল, এটা করলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। আসলে তাদের মাঝে একটা অহংকার কাজ করে। তারা ভাবে, আমরা এত শিক্ষিত এত মেধাবী অথচ আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি না। তারা এটা বোঝে না যে, ক্ষমতা লাভের জন্য প্রয়োজন মানুষের ভালোবাসা। যেটা আমাদের রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে আমাদের ৩টি শিক্ষা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠা মানেই দুর্নীতি নয়, বিদেশিদের বক্তব্য মানেই সত্য কথা নয় এবং যেকোন কাজ বাস্তবায়নে সচেতনতা ও জাতীয় ঐক্য জরুরী। যদি ২০১৮ সালে এই সেতু চালু করা সম্ভব না হয়, তাহলে ২০১৯ সালের মাঝামঝি সময়ে এটা উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।