জলবায়ু ঝুকিতে বাংলাদেশ শীর্ষে , প্রস্তুতি নেই মোকাবেলার জন্য
জাফর আহমেদ : বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুকিতে বাংলাদেশ। বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, শীত ও গরম কোনো মৌসুমই ঠিকমতন হচ্ছে না জলুবায়ু প্রভাবের কারনে। গত জুলাই মাসে এডিবির এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশর বন্যা, ঘূূিণঝড়, জলোচ্ছাস খড়ার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে প্রতিটি ঘূির্ণঝড়ের ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা ,যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে ১০বছর। অন্য অন্য দেশ জলবায়ু মোকাবেলার জন্য যতটা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, বাংলাদেশে তখন জলবায়ু মোকাবেলার জন্য তেমন উন্নয়ন হচ্ছে না। গত রবিবার ডিবিসি নিউজ, টিভি চ্যানেল এ বিষয় নিয়ে টকশো রাজকাহন, রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড.আতিক রহমান বলেন, জলবায়ু নিয়ে নিজেদের উদ্যোগে গবেষ্না করা হচ্ছে কিন্তু সরকারিভাবে কাজের কোনো উন্নয়ন অগ্রগতি নাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অকালে যত ধরণের বৃষ্টি, বন্যা, ঘূণিঝড় থেকে শুরু করে সব ধরনের সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে হয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য স্বয়ংসম্পর্ন, তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে জলবায়ু মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা খুব জরুরি। হাওড়ে ৩০বছরেও এমন বন্যা হয়নি। ক্যালিফর্নিয়ায় প্রচন্ড সৃর্যের তাপে হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে। জলবায়ু মোকাবেলার জন্য ২৩টি জোন আছে, তাদের কাজ ভাগ করে দিতে হবে। দুইটা ফান্ড আছে যা বিভিন্ন মন্ত্রণায়ের মাধ্যমে চলে। জলবায়ু নিয়ে রিচার্জ করার জন্য বিশ্বব্যাংক পাশে ছিল কিন্তু কিছু অগোছালো ও ভুলবাল কার্যক্রমের জন্য, লেজগুটিয়ে চলে যায় ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অর্ফিসের তথ্য অনুযায়ী এবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় নোয়াখালীতে ৩০৬ মিলি মি. এবং গোপালগঞ্জ ২৭২ মিলি মি.। যা আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন জাতের ধান ,পাট, বিভিন্ন শষ্য নিয়ে গবেষনা চলছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়কটি নতুন জাত নিরোপন করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া হেভি এবিলিটি তরতম্যের কাজ করতে হবে জলবায়ুর উপর র্র্নিভর করে।
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড স্বাধীন কারিগরী পরামর্শক প্যানেল সদস্য ড.আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন ২৫ বছর আগে প্রাথমিক পদক্ষপ নেয়া হয়েছে কিন্তু প্রতিনিয়ত রিচার্জ না করলে, জানা বোঝার ও ব্যবহারিক জ্ঞান দুর্বল হয়ে পড়ে। যেভাবে কাজ করার থাকে সেভাবে কাজ হয়না। জাতিসংঘের অধিবেশনে মহাসচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু নিয়ে জোরালো আলাপ আলোচনা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাবে কাজের প্রতি অগ্রগতি হয় না। তাই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এলাকার আবহাওয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ কারন একতৃতীয়াংশ বা অর্ধেক তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সূত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ জলবায়ু নিয়ে রিচার্জ ও ঝুকি মোকাবেলার জন্য ২০১০ ও ১২ সালে ১০বিলিয়ন এবং২০১৯ সালে ১০০বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথাছিল জাতিসংঘের ঘোষনামতে। সেই সব ঘোষনা নাম মাত্র, কবি বলেছেন একফোটা শিশির দিলাম লিখে রেখ ।