‘গণমাধ্যমের কাছে নিরপেক্ষতা চাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ’
তোফাজ্জল হোসেন : গণমাধ্যমকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব না। গণমাধ্যমের কাছে এখন নিরপেক্ষতা চাওয়াই সরকারের জন্য হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সরকার অনেকগুলো গণমাধ্যমের অনুমোদন দিয়েছে। কেউই সরকারের সমালোচনা বন্ধ করছে না। রোববার রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টকশো আজকের বাংলাদেশের আলোচনা পর্ব ‘পথ বিপথ’-এ পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর এসব কথা বলেন। টেলিভিশনটির এক্সকিউটিভ এডিটর খালেদ মহিউদ্দিনের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহফুজ উললাহ।
শাহ আলমগীর বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যমের কাছে সুবিধা চাওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার গণমাধ্যমকে শত্রু মনে করলে এতগুলো চ্যানেল অনুমোদন দিত না। বরং বন্ধ করাই ছিল সরকারের কাজ। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। গণমাধ্যমকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। আবার কোনো সংবাদ প্রচারে বাধা দিয়েও কোনো লাভ নেই। কোনো না কোনো ভাবে সেটি প্রকাশ হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলেও সেটি প্রকাশ পাবে। তাই নিরপেক্ষতাই হবে সরকারের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহফুজ উললাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি দিয়েছি আমি বন্ধও করে দিতে পারি। কয়েকটি মিডিয়া বন্ধও হয়েছে সরকারের আমলে। ২টি পত্রিকায় (নাম প্রকাশ না করে) বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার দুর্গার চেয়ে বেশি শক্তিশালি। তাই কোনো না কোনো ভাবে মোচড়ানোর ক্ষমতা সরকার রাখে। সাংবাদিকরা যখন খবর তৈরি করেন তখন সরকারের জন্য যেন মনোকষ্টের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেটি মাথায় রাখেন।
কলকাতার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে মাহফুজ উললাহ বলেন, বাংলাদেশ যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কলকাতার কিছু মানুষের মধ্যে একটি বিরুপ অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে তাদের এদেশ সম্পর্কে অতি আগ্রহের কারণে এদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাদের খবরের কাটতি থাকে। কলকাতার সংবাদ পত্রে যারা কাজ করেন তাদের অনেকেই ৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় সে দেশে রয়ে গেছেন। তাই বাংলাদেশের সম্পর্কে তাদের একটি অতি আগ্রহ কাজ করে। সেটি এদেশ সম্পর্কে তাদের অতি উৎসাহের কারণ। এটি তাদের পত্রিকায় বাংলাদেশ নিয়ে হলুদ সাংবাদিকতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কলকাতার বাংলা সংবাদ পত্রে বাংলাদেশের সংবাদ যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়, সেটি ভারতের জাতীয় পত্রিকায় সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু