বাণিজ্যমন্ত্রী-কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বৈঠক স্যামসাং ও এলজি পণ্য বাংলাদেশেই উৎপাদন হবে
হাসান আরিফ : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কোরিয়ার স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি সকলপণ্য এখন বাংলাদেশেই উৎপাদন করবে। জয়েন্ট ভ্যান্সারে এ সকল কোম্পানি গড়ে উঠবে। কোরিয়া বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) পাশাপাশি কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কোরিয়া বিনিয়োগ করবে।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিয়ং-ডু মতবিনিময় করেন। এরপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছে। আরও অনেক কোম্পানি বাংরাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্পেশাল ইকোনমিক জোন কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংরাদেশে বিনিয়োগ করতে বেশ আগ্রহী। স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি জয়েন্ট ভ্যান্সারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। কোরিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সবধরনের সহায়তা প্রদান করবে। কোরিয়া বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন করে রপ্তানি করলে বেশি লাভবান হবে কোরিয়া। এ মুহূর্তে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ১৫০৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৩৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১২৬৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরি বেশকিছু পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করেছে। এসুবিধা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীক জটিলতা দূর করতে উভয় দেশ কাজ করে যাচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে চলতি বাণিজ্য ব্যবধান কমানো হবে।