‘জঙ্গি দমনে সিটিটিসির সাফল্য পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করেছে’
মাসুদ আলম : কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের পেশাদারিত্বকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। আপনারা দেশ রক্ষায় যা করছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জঙ্গি দমনে আপনাদের সাফল্য পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করেছে।
বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের ১২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপত্বি করেন পুলিশের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। ১২ দিনের এই কোর্সে ২০ জন ডিএমপি’র প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র প্রদানের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেবার ঘোষণা দেন কমিশনার।
কমিশনার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনারা শুধু ডিএমপি’র নয় এদেশের সম্পদ। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রতিটি সদস্য তারা এই পেশাকে শুধু চাকরি হিসেবে না নিয়ে দেশাত্ববোধ, জনদায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম হিসেবে নিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন করছেন যা প্রশংসনীয়। আপনারা আমাদের রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়েছেন। অতি স্বল্প সংখ্যক লোক নিয়ে আপনারা বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তরে ছুটে চলছেন। ইতোমধ্যে জাতীয় এন্টিটেরোরিজম ইউনিট অনুমোদন হয়েছে। ভবিষ্যতে জঙ্গি দমনে আপনাদের গুরুত্ব অনেক থাকবে।
কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন- এক্সপ্লোসিভ এটাই সিটির প্রথম ট্রেনিং যেখানে কমিশনার স্যার এসে তাদের উৎসাহ দিয়েছেন। সকল বিষয়ে বাংলাদেশ স্বনির্ভরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিদেশ নির্ভর না হয়ে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রশিক্ষক দিয়ে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রশিক্ষকরা প্রত্যেকে কর্মজীবনে অনেক বোম্ব ডিসপোজাল করেছে। ভবিষ্যতেও ট্রেনিং আরো হবে। এটি প্রথম ট্রেনিং হিসেবে মাইলস্টোন এর মত কাজ করবে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সকল সীমাবদ্ধতাকে উর্ধ্বে রেখে দেশ, জাতি ও পুলিশ বাহিনীর জন্য কাজ করতে হবে।