রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করার চেষ্টার অন্তরালে
মিনা ফারাহ
যেখানেই খনিজসম্পদ, সেখানেই ভালচারের দল, সেখানেই ক্রাইসিস। করপোরেট ট্রায়াঙ্গেলে সর্বশেষ বলি- রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী। উত্তর অনেক, প্রশ্নের অভাব। পুঁজিবাদ যারা বোঝে না, রোহিঙ্গা আলোচনা তাদের জন্য অসম্ভব। মূল ক্রাইসিস ট্রানজিট, খনিজসম্পদ এবং ক্ষমতা। ভৌগোলিক কারণে আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত চীনের ওয়ানবেল্ট-রোডওয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ। পুঁজিবাদের এই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির উদ্দেশ্য মার্কিন ব্লকের বিরুদ্ধে চীনপন্থী নতুন শক্তির অভ্যুত্থান, যার কেন্দ্রবিন্দুতে বঙ্গোপসাগার। মিয়ানমার এবং চীন যমজের মতো। চীন-ভারত চরম শত্রু। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো। আরাকানে যা ঘটছে, সব কিছুতেই ভারতপন্থী-চীনপন্থীদের অঢেল টাকা। নিষেধাজ্ঞা দিলেও কিছুই হবে না। ত্রাণ পাঠাবে কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তারা দেবে না। সুতরাং অগণিতকাল ভাত ভাগাভাগি করে খাওয়াতেই হবে।
এজন্যই তৈরি করছে হাসপাতাল, হাজার হাজার টয়লেট, স্কুল, শিশুপল্লী, এতিমখানা, ত্রাণসামগ্রী, বাসস্থান…। বাধ্য হয়ে বিহারিদের মতোই মেইনস্ট্রিমে পৌঁছে যাচ্ছে রোহিঙ্গারাও। অর্থাৎ রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু রোহিঙ্গা নয়।
লেখক : কলামিস্ট
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও খন্দকার আলমগীর হোসেন