কুখ্যাত মাসুদ আজহারকে ‘জঙ্গি’ ঘোষণার প্রস্তাব বাতিল করবে চীন
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা : ফের ভারতের সামনে ‘চীনের প্রাচীর’। এবারও জঙ্গি মাসুদ আজহারের পক্ষেই সওয়াল বেইজিংয়ের। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান ও পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার প্রশ্নে নিজেদের অবস্থানে অনড় চীন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদকে জঙ্গি ঘোষণার মার্কিন প্রস্তাবে এবার চিরতরে ইতি টানতে চলেছে বেইজিং।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার করার জন্য রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা। ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করে ফ্রান্স ও ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। এরপরই নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব ‘টেকনিক্যাল হোল্ডের’ মাধ্যমে আটকে দেয় লালচিন। আগ স্ট মাসে সেই মেয়াদ ফুরোলে ফের একইভাবে তিন মাসের জন্য প্রস্তাবটি হিমঘরে পাঠিয়ে দেয় বেইজিং। সূত্রের খবর, এবার নিরাপত্তা পরিষদে ‘ভেটো’ ব্যবহার করে পাকাপাকিভাবে ওই প্রস্তাব বাতিল করে দিতে চলেছে চিন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যে কোনও প্রস্তাবে ‘ভেটো’ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে চীনের। আর নিরাপত্তা পরিষদে পেশ হওয়া কোনও প্রস্তাবে যদি কোনও স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ‘ভেটো’ জারি করে, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য দেশের সমর্থন থাকলেও, সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি কার্যকর করা যায় না। আর এই ‘অ্যাডভান্টেজ’কে কাজে লাগিয়েই বারবার কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। বস্তুত, গত বছর মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’র ঘোষণার প্রস্তাবে সহমত হযেছিল নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৪টি দেশ। কিন্তু একমাত্র চীনের আপত্তিতে সেবার মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে ঘোষণা করতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ।
ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বরাবরই মাসুদ আজহারকে ব্যবহার করে এসেছে পাকিস্তান। পাঠানকোট হামলার মতো একাধিক সন্ত্রাসবাদী হানার নেপথ্যে রয়েছে ওই জঙ্গি। আর তাই ভারতকে চাপে ফেলতে মাসুদকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন জানাচ্ছে চীন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ডোকলামে মুখ পুড়িয়ে এভাবেই ‘গায়ের জ্বালা’ মেটাচ্ছে বেইজিং। তবে সন্ত্রাস নিয়ে চীনের দ্বিচারিতা ভারতীয় কূটনীতির পক্ষে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্যে বারবার দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার পক্ষে সওয়াল করলে বাস্তবে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের বিপক্ষেই যেন অবস্থান করছে ড্রাগন।
মেধাবীদের ছাড়া অপূর্ণ
কাশ্মীর : ফারুখ আব্দুল্লাহ
মরিয়ম চম্পা : বিরোধী দলের জাতীয় সন্মেলনে সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন মেধাবীদের (পন্ডিত) ছাড়া কাশ্মির একেবারেই অপূর্ণ।
গত রোববার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই অসম্পূর্ণতা পুরণ করতে এবং অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে তার দল কাজ শুরু করেছে। যদিও তিনি পূর্বে একটি ভিন্য উপতাক্যার মাতৃভাষার ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন।
এনসির আয়োজনে শের-ই-কাশ্মীরের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই অধিবেশনে ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, কাশ্মীরের সকল মেধাবীরা (পন্ডিত) রাষ্ট্রেরই একটা অংশ এবং তার দল এটা পুনপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
যতক্ষণ না মেধাবীরা কাশ্মীরে ফিরে আসছেন ততক্ষণ কাশ্মীর অসম্পূর্ণ থাকবে। রাষ্ট্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তাদের ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন মেধাবী মুখ তৈরিতে আমাদের দল বদ্ধপরিকর। মেধাবীহিন কোন মাতৃভূমিকে আমি পূর্ণ মাতৃভূমি হিসেবে সমর্থন করি না। তারা আমাদের সাথে (মুসলমানদের) মিলেমিশে বসবাস করবে। মুসলমানরাই তাদের রক্ষা করবে। এর আগে দলটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর পাশাপশি কাশ্মীরি মেধাবীদের (পন্ডিত) ফিরিয়ে আনতে একটি সতন্ত্র আইন পাশ করান।
জুম্মু এবং কাশ্মীর বিভাজন আমাদের কাশ্মীরি মেধাবী ভাই বোনদের জন্য এটি ইতিহাসের একটি কাল অধ্যায়।
তিনি বলেন, অতীতে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন এবং পূর্ণবাসন আশানুরুপ ছিল না একইসাথে এ অবস্থার কোন উন্নতি হয় নি। তাদের ফিরিয়ে আনতে এবং পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে সকল প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।