বাংলাদেশি জঙ্গি গ্রেফতারের জন্য ভারতের ৩ জেলায় পাসপোর্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে খতিয়ে দেখা হবে দেওবন্দ ও পার্শ্ববর্তী দুই জেলা মুজফফরনগর ও সাহারানপুরের বাসিন্দাদের পাসপোর্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ৩ জেলার বহু পাসপোর্ট ধারকের সঙ্গে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া যায়। সেখানে দেওবন্দের ঠিকানা ছিল। তারপরই নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তামহল। পুলিশ মনে করছে, দেওবন্দসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে লুকিয়ে রয়েছে বহু জঙ্গি। এই দেওবন্দেই রয়েছে ইসলামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ।
উত্তর প্রদেশে বড়সড় নাশকতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তারপরই সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি বাড়ায় পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেয় যোগী সরকার। এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা রক্ষার খাতিরেই এই অভিযান। জাতধর্মের বিভেদ না করে ওই জেলাগুলোর সকলেরই পাসপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। গত আগস্ট মাসে মুজফফরনগর থেকে আবদুল্লা আল মামুন নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য, বহু বছর ধরেই দেওবন্দে ছিল ওই জঙ্গি। অক্টোবরে ফের উত্তর প্রদেশ এটিএস সাহারানপুর থেকে পাকড়াও করা হয় আরেক বাংলাদেশি জঙ্গিকে, তার কাছ থেকে আইসিসের বইপত্র উদ্ধার হয়েছে। এই দু’জনের গ্রেপ্তারের পর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০ জনের মত সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক ¯্রফে উবে গেছে বলে জানায় পুলিশ। তার জেরেই এই পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ