উগ্র মতাদর্শ প্রতিরোধ করতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে
মে. জেনারেল আবদুর রশীদ (অব.)
বাংলাদেশ বিমানের ফার্স্ট অফিসার হয়ে সে একজন জঙ্গী। গুলশানের হলি আর্টিজান হামলায় আমরা দেখেছি শিক্ষিত পরিবারের ছেলেরা অংশ নিয়েছে। সংগঠনগুলো তাদের ভেতরে প্রচারণা চালায়। তাদের মগজ ধোলাই করে। এলিট সম্প্রদায় থেকে তাদের রিক্রুট করার জন্য মগজ ধোলাইয়ের টেকনিক অ্যাপ্লাই করে। এক ধরণের সম্মোহন করা হয়ে থাকে। অনেকগুলো কারণের ফলে এটা ঘটে। আমার মনে হয়, কিছু কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গীবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়। পরে সক্রিয় জঙ্গী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে বেশি মর্মান্তিক হচ্ছে এরা যখন স্পর্শকাতর এলাকায় কাজ করে, তারা যখন এরকম রাজনীতিতে বিভ্রান্ত হয়, তারা যাতে সফল কাম হতে না পারে তার জন্য জনগনকে সচেতন থাকতে হবে। এখানে সমাজের কিছু দায়িত্ব আছে। লেখাপড়া শিখে তারা জঙ্গীবাদের সংস্পর্শে এসে আতঙ্কবাদীতে পরিণত হয়। এটা প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তারা তাদের মতাদর্শে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। পরিবারকে অবশ্যই দেখতে হবে, ছেলে মেয়েরা কি করছে? তাদের জীবন যাপন কিভাবে চলছে? যে প্রতিষ্ঠানে তারা পড়াশুনা করছে তাদেরও দায়িত্ব আছে। তাদেরকে অবহেলা করা যাবে না। অবহেলা থেকে ক্ষোভের জন্ম হয়। তখন তারা বিধ্বংসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ