কফি আনান কমিশন : রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বড় মাধ্যম
ড. অনুপম সেন
খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে রাজপথ দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ায় রাস্তার দু’পাশে ব্যানার টাঙিয়ে গেট সাজিয়েছে তার সর্মথকরা। অনেকটা ক্যাম্পেইন এর মতো মনে হল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রচার যে রকম হয়, অনেকটা সে রকম ভাবেই উনি গিয়েছেন। চট্টগ্রামে যখন উনি সার্কিট হাউজে ছিলেন, তখনো কিন্তু অনেক লোক যারা এসেছে বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে, সার্কিট হাউজের চারপাশে, চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো প্রচুর ব্যানার দিয়ে ভরা। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা ব্যানার দিয়েছে। এমনভাবে দিয়েছে যেন মনে হয় সামনে ইলেকশন। খালেদা জিয়াকে মনস্থির করতে হবে, উনি কি বলতে চান। কারণ, কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। উনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু কফি আনান কমিশন বিএনপিকে দিয়ে সেটা আবার প্রত্যাখ্যান করেছে। এই বিষয়গুলো ভালো ভাবে বসে ঠিক করতে হবে, কি বলতে চান? কারণ, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছেন। তার ফলে একটা কনফিউশনের সৃষ্টি হচ্ছে। উনারা যে সেফ জোনের কথা বলেছিল, সেফ জোনও স্বীকার করেন নি। কফি আনান কমিশন হল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। জাতিসংঘ যার মাধ্যমে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে চাপ দিচ্ছে মিয়ানমারের ওপর। সেজন্য আগে ঠিক করতে হবে, তিনি কি চান? কারণ, ওদের একেকজন একেক রকম কথা বলছে। আসলে যারা এইসব বিষয় নিয়ে ভাবছে, তারা কিন্তু ভালো করে বলতে পারছে না ওদের বক্তব্যটা কি? বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে। বলছে যে ফেরত নিতে হবে। কিসের ভিত্তিতে ফেরত নেবে। কফি আনান কমিশনের রিপোর্টকে বলছে যে, ওটা ঠিক নয়। ঠিক নয় যে সেটাও তো ওনাদের বলতে হবে। ওরা মিশন কমপ্লিট করেছেন ভালো। তার থেকে বোঝা যায়, উনি ইলেকশনে লড়বেন। সরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফিরে এসে বলেছেন, যে কারণে গিয়েছেন সেটা পাওয়া যায় নি। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনা বাহিনীদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই সবের মাধ্যমে চাপ অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারের ওপর। সেই চাপটা যেন এদের বক্তব্যে হারিয়ে না যায়, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
পরিচিতি : উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য, আ.লীগ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ