মৌলভীবাজারে কমলা চাষীদের সাফল্যের হাসি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার প্রায় দুই হাজার কমলা চাষীর চোখে মুখে এখন সাফল্যের হাসি। কমলা গাছে গাছে এসেছে প্রচুর ফলন এসেছে। এ অঞ্চলের কমলার সুখ্যাতি সিলেট জুড়ে। দীর্ঘ বন্যায় এ এলাকার চাষীরা অনেকটা পথে বসে গেছে। এঅবস্থায় কমলাতে স্বপ্ন দেখছেন তারা। কিছু বাগান মালিক ইতোমধ্যে বাগানের কমলা বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে কমলা পরিপক্ক হয়ে বাজারজাতের উপযুক্ত হয়ে উঠবে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার গল্লাসাঙ্গন, বোবারথল, মাইজগ্রাম, উত্তর ডিমাই, ছোটলেখা, মাধবপুঞ্জি ও জুড়ী উপজেলার লালছড়া, শুকনাছড়া, ডুমাবারই, লাঠিটিলা, লাঠিছড়া, হায়াছড়া, কচুরগুল, পুটিছড়া, কালাছড়া গ্রামের ১৫৪ হেক্টর টিলায় কমলার আবাদ রয়েছে। দুই উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ১৩১৪ জন কমলা চাষী রয়েছেন। ১১১টি বাগানে ফল ধরার উপযোগী কমলা গাছের স ংখ্যা ৫৫ হাজার ৭শ ২০টি। মোট গাছের ৭০ ভাগেই ফল আসে। একটি ফলন্ত গাছে ২০০ থেকে ২ হাজার পর্যন্ত কমলা ধরে। এ দুই উপজেলায় এ বছরের কমলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৭৭ মেট্টিক টন। ৪-৫ বছর পূর্বে কমলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবারের চেয়ে দেড়-দুই গুণ বেশি ছিল। বড়লেখা কৃষি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন, জানান, সঠিক পরিচর্যা করলে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সিলেট বিভাগের মোট কমলার চাহিদার অর্ধেক পূরণ করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান