ইয়াবা ব্যবসায়ী নাদিম গ্রেফতার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন পরে প্রত্যাহার!
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ইয়াবা ব্যবসায়ী নাদিম মোল্লাকে গ্রেফতারের পর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। তবে সে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে চন্দ্রা এলাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ নাদিম মোল্লা ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। এসময় তার সঙ্গে থাকা সেলিম, সোহাগ ও রনি পালিয়ে যায়। পরদিন নাদিম ও তার সহযোগীদের আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধন-২০০৪) এর ১৯(১) এর ৯(খ)/২৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়। একইদিন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে নাদিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করার কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের টোলারবাগ এলাকার বাসিন্দা নাদিম মোল্লা মৃত বরকত উল্লাহের ছেলে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি রাজধানীর পাশাপাশি সাভার, টঙ্গী, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায় ইয়াবা সামাজ্য গড়ে তোলেন। নাদিম মোল্লা সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা এনে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশেও পাঠায়। সূত্র আরও জানায়, নাদিম মোল্লা ছোট বেলা থেকেই বখাটে প্রকৃতির। এ কারণে ২০০১ সালে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিভিন্ন মাদক সেবনসহ অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রবাসী এক বাঙালি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তাকে বিয়ে করলেও কিছু দিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এর আগেই স্ত্রীর নাগরিকত্বের সুবাদে নাদিম মোল্লা সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। এরপর তার পরকীয়ার ঘটনাও আরও বেড়ে যায়। ২০১৫ সালে এক পেয়িং গেস্টের আড়াই বছর বয়সী শিশুকে যৌন হয়রানী করে নাদিম। পুলিশের কাছে এই রিপোর্ট গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে নাদিম মোল্লা। অভিযোগে জানা যায়, বাংলাদেশে আসার পর নাদিম নানা ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- শুরু করে। এছাড়া মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নাদিমের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের পাশাপাশি বুদ্ধি-পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে নাদিম মোল্লা কাশিমপুর কারাগারে রয়েছে। তাকে মুক্ত করতে চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের অর্থ নিয়ে মাঠে নেমেছে বলেও জানা গেছে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম