ধর্মীয় দাওয়াতের নামে সারাদেশে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করছে জঙ্গিরা
শিক্ষিত পরিবারের লোকজন জঙ্গী হিসেবে ধরা পড়ছে। জঙ্গী তাদেরকে বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশের ভেতর থেকে এই জঙ্গীয়ানার রাজনীতি যারা করছে এবং এই রাজনীতির বাংলাদেশে এখনো এসব মানুষের চান্স আছে? এদের নেটওয়ার্ক সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত। এবং তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় দাওয়াতের নামে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করছে সারা বাংলাদেশে এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এই জঙ্গীয়ানা উগ্র ইসলামী গঠনতন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা । উগ্র রাজনীতি যারা করে তারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতায়ও ছিল। তারা মন্ত্রীও ছিল। তাদের এই আদর্শে বিশ্বাসী লোকদেরকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রতন্ত্রের সমস্ত প্রশাসনের, সমস্ত জায়গায় স্থান করে দেয়। এমন কোনো জায়গা নেই, তারা তাদেরকে ঢুকায় নি। তারা পরিকল্পিত ভাবে তাদেরকে ঢুকিয়েছে। শুধু এক সাব্বির নয়, এই বাংলাদেশের প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সাব্বিরদের বসবাস। তারা লুকিয়ে আছে। তারা শুধুমাত্র সুযোগের সন্ধানে আছে। যে যখন সুযোগ পাবে, তারাই তখন এই ধরনের অপ তৎপরতায় লিপ্ত হবে। সুতরাং এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। এটি আকস্মিক কোনো বিষয় নয়। এটি বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এটা ধরা পড়েছে কোনো একটি ঘটনার সুত্র ধরে। সে ধরা পড়েছে তাই আজকে আমরা জানছি। কিন্তু যখন আপনি এর গভীরে যাবেন, এটা নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করছি, লেখালেখি চলছে। খোঁজ-খবর নিয়েছি। যারা অনুসন্ধানি তাদের কাছে তথ্য, উপাত্ত আছে। তারা অনুসন্ধানি রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। সুতরাং কারা জঙ্গী হচ্ছে , কাদের জঙ্গী বানানো হচ্ছে, এই বাংলাদেশে এই জঙ্গীয়ানা, এই উগ্রবাদী যে রাজনীতি তার ধারাবাহিকতায় এরা জঙ্গী হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এই নেতিবাচক রাজনীতিটাকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যেটা আদৌ সম্ভবপর নয়। আপাতত আমাদের বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের জনগণের নিরাপত্তার জন্য, আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদকে রক্ষা করার জন্য আমাদের জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচেতন হতে হবে। যাদের সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি বা আচরণ দেখা যাবে, তাদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেওয়া উচিত। তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়া এবং একই সাথে যাদেরকে ধরা হচ্ছে তাদেরকে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। গত এক দেড় বছর ধরে তাদের অনেক অপতৎপরতা দেখে আসছি। যা সফল হয় নি, পুলিশ বাহিনী সজাগ থাকার কারণে। জনগণের সচেষ্ট থাকার কারণে। জনগণকে আরও সজাগ থাকতে হবে। মিডিয়ার এখানে ভূমিকা রাখতে হবে। এই পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে। এই রাজনীতিতে যারা আছে, তারা দেশ, জাতি, জনগণের শত্রু। তাদের মুখোশ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। যেন তারা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামতগ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ