রোহিঙ্গাদের ‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ সমালোচনার মুখে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে রোহিঙ্গা টেস্টিমনি তুলনীয় নয় : মফিদুল হক
বিশ্বজিৎ দত্ত : রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও দুর্দশা নিয়ে টেস্টিমনি অব সিক্সটি প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। উল্লেখ্য, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬০ ব্যক্তির বক্তব্য ও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টির সমালোচনা করে লেখক ও নদী গবেষক শেখ রোকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে টেস্টিমনি অব সিক্সটি এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মাদার তেরেসা, এডওয়ার্ড কেনেডি, জন পিলজারসহ ৬০ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি বাঙালি শরণার্থীদের দুর্দশার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিশ্বনেতৃত্বের কাছে গণহত্যা বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলেন। টেস্টিমনি অব সিক্সটি সংকলন ও প্রকাশের জন্য ২০১২ সালে অক্সফাম ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা’ পেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে কি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য স্মারকটির অদ্বিতীয়তা ক্ষণœ করা হলো না? এতদিন টেস্টিমনি অব সিক্সটি বললেই বোঝা যেত বাঙালির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের সেই দলিলের কথা বলা হচ্ছে। এখন বলতে হবে, কোন টেস্টিমনি অব সিক্সটি? বাঙালির না রোহিঙ্গার? লেখক শশাঙ্ক বরণ বলেন, এটি একটি কা-জ্ঞানহীন কাজ।
এ বিষয়ে গতকাল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব মফিদুল হক বলেন, আসলে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের তুলনার প্রশ্নই আসে না। আসলে টেস্টিমনি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা রোহিঙ্গাদের টেস্টিমনি প্রকাশ করেছি তাদের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে সেই মানবিক দিকটা বিবেচনা করে। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, আমাদের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য রয়েছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন