আওয়ামী লীগকে একটা সমঝোতার ধার খোলা রাখতে হবে
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
আলাল
আমরা তো নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত। সে নির্বাচন কোনটা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন, নাকি সত্যিকারের নির্বাচনের সংজ্ঞায় যেটা পড়ে সেটা। প্রধানমন্ত্রীকে এ ফরমেটের মধ্যে রেখে, এ ধরনের পরিপূর্ণ ক্ষমতার মধ্যে থাকা অবস্থায় কোনো নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো না। সহায়ক হোক বা যেকোনো নামে হতে পারে কিন্তু এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। মা ডাকে প্রার্থণা নামে বাবা ডাকে ঋদুমণি নামে। আসলে নামে তো কিছু যায় আসে না। মেয়েটা ভালো নাকি চঞ্চল, কতটা ভালো সেটা হচ্ছে বিষয়। কথা হলো, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন; যেখানে ক্ষমতাসীন মহলের কোনো প্রভাব থাকবে না। কোনো রকমের হস্তক্ষেপবিহীন নির্বাচন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা বা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা যেকোনো নামে হতে পারে। মূল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, নিরপেক্ষ প্রশাসন দ্বারা নির্বাচন। আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ১৯৭৩ সাল থেকে আজ অবধি যত নির্বাচন হয়েছে, কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ হয়নি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যেভাবে হয়েছে সেভাবে। এ ইতিহাস আমাদের সামনে। সে কারণে তত্ত্বাবধায়ক নামে বলি, নিরপেক্ষ নামে বলি আর সহায়ক নামেই বলি। আওয়ামী লীগকে একটা সমঝোতার ধার খোলা রাখতে হবে। তারা যদি এভাবে বলতে থাকে বিএনপি নির্বাচনে আসতেই হবে, হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতেই হবে, তাহলে আমাদের জেলখানায় পুরতে, সাজা দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে বা দুর্বল প্রার্থীদের সাথে খেলাধুলা করে একটা নির্বাচন দিতে পারবে। কিন্তু সেটার মাধ্যমে গণতন্ত্র যে প্রশ্নবিদ্ধ আছে আরো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এতে সত্যিকার গণতন্ত্র আসবে না। আওয়ামী লীগের মতো দায়িত্বশীল দলের উচিত খামখেয়ালিপনা ছেড়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
মতামত গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ