বাস্তব ও কল্পনার মিশ্রনে নতুন পর্ণ বিশ্ব!
প্রিয়াংকা পান্ডে : ২০১৪ সালে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সেক্স ভিডিওতে অভিনয় করে পর্ণোগ্রাফি বিশ্বকে আলোচনায় এনেছিলেন এলা ডার্লিং (৩১)। সাধারন পর্ণোগ্রাফিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের কারুকার্য মিশিয়ে নতুন যুগের উন্মোচন হয়েছিল তখন। তখন থেকেই শুরু। বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সেক্স ভিডিওগুলো হয়েছে আরো আধুনিক। শতশত ক্যামেরা বিভিন্ন দিক থেকে ১৮০-২৪০ ডিগ্রি ভিউ নিয়ে সকল কর্মকা- পর্যবেক্ষন করবে। পর্ণোগ্রাফি হবে ভিডিও গেইমের মতো । ভিডিও গেইম যেমন একজন গেইমার নিজের মতো করে খেলতে পারে, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) সেক্স পর্র্নোগ্রাফি হবে তেমনই। অনুভতির দিক থেকে সায়েন্স ফিকশন মুভির থেকে কোন অংশে কম হবে না এই ভিডিওগুলো।
পর্ণহাব ওয়েবের মতে , ২০১৬ সালে ভিআর পর্ণের জন্য সাইটিতে ভিউ বেড়েছে ২৭৫শতাংশ। প্রায় প্রতিটি ভিডিওতেই আলাদা ভিউ এসেছে ৫ লাখের বেশি। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সেক্টরে পর্ণোগ্রাফির স্থান থাকবে শীর্ষ তিন-এ। ন্যাশনাল ফুটবল লীগ-এনএফএল এর পর প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে স্থান দখল করবে পর্ণোগ্রাফি।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সেক্স ভিডিও’র আগে ‘সেক্স ডলস’ বেশ আলোড়ন তুলেছিল পর্ণোবিশ্বে। বর্তমানে সেই অঙ্গনও রোবটের আগমনে হয়েছে অত্যাধুনিক। সেক্সডল থেকে সেক্স রোবটে যাওয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যানে এখন নিজের পছন্দের চেহারা বসানোর সুযোগও থাকছে।
তবে বিজ্ঞানের তৈরি এই পর্ণোবিশ্বকে শুধুমাত্র শারীরিক প্রয়োজনে না রেখে মানসিক ভাবেও সংযোগ করার কথা জানিয়েছে সেক্স রোবট মেকারদের একজন।
মেকারদের একজন সেক্সরোবট সম্পর্কে জানান ,তারা থ্রিডি দিয়ে এমন কিছু বানাচ্ছেন যা দ্বারা যেকোন চেহারা বসানো যাবে। চাইলেই নিজের পছন্দের মানুষের চেহারা বসিয়ে তার সঙ্গে ভিআর সেক্স সম্পর্ক গড়া যাবে। নিউ ইয়র্ক টাইমস