বড় ভাইয়ের নির্দেশে অভিজিৎ হত্যায় অংশ নেয় সোহেল
বিপ্লব বিশ্বাস : অবশেষে প্রায় ২ বছর পর ধরা পড়লো ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া এবিটি’র সদস্য মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)। গত রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আনসার আল ইসলামের ইন্টেলিজেন্স শাখার একজন সক্রিয় সদস্য।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) কথিত ‘বড় ভাই’র নির্দেশেই লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। অভিজিৎ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সোহেল জানান, সংগঠনের বড় ভাইয়ের নির্দেশে এবং পরিচালনায় তারা এ হত্যাকান্ড ঘটান।
দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের ৭টি ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ। অভিজিৎ রায়কে যেখানে হত্যা করা হয়, সেই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। এতে দেখা যায়, অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ বইমেলার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বিভিন্নভাবে তাদের অনুসরণ করছিল ৬ সন্দেহভাজন হত্যাকারী। গ্রেফতার সোহেল তাদের মধ্যে অন্যতম বলে দাবি করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পুলিশ বলেছে, সোহেল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (পুরোনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সক্রিয় সদস্য। তিনি অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। এরপর সোহেলসহ ৬ জনকে ধরিয়ে দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে ছবি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অভিজিৎ রায়কে। তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী বন্যা আহমেদ স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে একটি আঙ্গুল হারান। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ