এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অতিরিক্ত লাগবে ৯২৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার : জিইডি
সাইদ রিপন : টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে ৯২৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৪০কোটি টাকা। সাধারণভাবে সরকারি উন্নয়ন ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসেবে প্রয়োজন হবে এ পরিমান অর্থ। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি যৌথভাবে ‘এসডিজিস নীড অ্যাসেসমেন্ট এন্ড ফাইনান্সিং স্ট্রাটেজি, বাংলাদেশ পাসপেকটিভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ হিসাব দেখিয়েছে।
গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জিইডি। এছাড়া বাংলাদেশ ভলান্টারি রিভিউ ২০১৭ অন এসডিজিস এবং এ ট্রেইনিং হ্যান্ডবুক অন ইমপিমেন্টেশন অব দ্য সেভেন ফাইভ ইয়ার প্লাান শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়। রাজধানীর শেবেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এবং ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টও সুদীপ্ত মুখার্জী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচ টি ইমাম বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে আমাদের ভোট দিতে হবে। কেননা আমরা জঙ্গীবাদ দমন করে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছি। কিন্তু হঠাৎ করে মিয়ানমারের জেনোসাইড হওয়ায় আমাদের দেশে রোহিঙ্গাদের চাপ পড়েছে। কিন্তু আমরা এ সমস্যা সমাধান করে এগিয়ে যাব। রোহিঙ্গা ইস্যু শেখ হাসিনা যেহেতু বিশ^ায়ন করতে পেরেছে তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নে সফল হবে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ থেকে ডাবল ডিজিটে নিয়োজিত হবে। তাছাড়া ডুইং বিজনেস পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম