‘ফরবিডেন সিটি’তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
ইমরুল শাহেদ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চীনের রাজা বলে সম্বোধন করেছেন। সুতরাং চীন সফরের শুরুতেই তিনি ফরবিডেন সিটির মিং এবং খিং সম্রাটদের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে যাত্রা বিরতি করেন। ফরবিডেন সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪০৬ সাল থেকে ১৪২০ সালের মধ্যে। বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই শহরটি থেকেই মিং সাম্রাজ্য ও খিং সাম্রাজ্যের শাসকরা চীন শাসন করতেন। এই সিটিতে ৯৮০টি ভবন আছে এবং সিটিটির আয়তন হলো ১৮০ একর। এই সিটিটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ১৯৮৭ সালে।
এখানকার হল অব এমবডিড ট্রেজার্সে ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া এবং প্রেসিডেন্ট শি ও স্ত্রী মাদাম পেঙ লিউয়ান বাওয়ুনলাউ এক সঙ্গে বসে চা পান করেন। ফার্স্ট মার্কিন দম্পতি ইম্পেরিয়াল কমপ্লেক্সের তিনটি প্রধান হল ঘুরেফিরে দেখেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম হারমোনি, হল অব সেন্ট্রাল হার্মোনি এবং হল অব প্রিসার্ভিং হারমোনি।
তারা দেখেন প্যালেস মিউজিয়ামের ভাঙ্গা অংশগুলো মিস্ত্রিরা কিভাবে মেরামত করছেন। আর্টিফেক্টস কক্ষে প্রবেশ করে ট্রাম্প একটি মিউজিক্যাল ঘড়ি দেখতে পান। তাতে চীনের নানা দৃশ্যাবলি খেলা করছে। একটি মাটি সদৃশ ঘড়ি দেখতে পান যাতে ফুলেরা খেলা করছে। একটি ঘড়িতে দেখা যায়, সেটি টাওয়ার উত্তোলন করছে। এ তথ্য জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউজ পুল প্রতিবেদনে। এসব দেখে ট্রাম্প শুধু একটি শব্দই ব্যবহার করেছেন ‘অবিশ্বাস্য।’
এরপর ট্রাম্প এবং তার সফরসঙ্গীদের ইম্পেরিয়াল প্যালেসের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা অপেরা অভিনয় দেখেন। প্যালেস গ্রাউন্ডেই তারা রাতের খাবার খান।
চীনে তিনদিন থাকবেন ট্রাম্প। গত জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যকাল শুরু করার পর এটাই তার প্রথম চীন সফর। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম কংগ্রেসে শি জিনপিংকে সর্বাত্মক ক্ষমতা প্রদানের পর চীনে ট্রাম্পই হলেন প্রথম বিদেশি অতিথি। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর কালে চীনে যাওয়ার আগে ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি উদগ্রীব। কারণ তিনি সম্প্রতি বড় ধরনের রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছেন।’ ট্রাম্পের এই টুইটটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। সমালোচকদের মধ্যে রয়েছেন এলি র্যাটনার, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাবেক উপদেষ্টাও। র্যাটনার টুইট করে বলেছেন, ট্রাম্পের টুইটটি ছিল মার্কিন মূল্যবোধ ও স্বার্থ বিরোধী। ট্রাম্পের এই ফরবিডেন সিটি সফরকে চীনারা বলছেন চীন সফরের সঙ্গে উপরি পাওনা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য একটা উৎসব। সূত্র : স্ট্রেইট টাইমস