রাষ্ট্রপতি বিচারবিভাগে ক্যান্সার ছড়াচ্ছেন Ñসুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক
এস এম নূর মোহাম্মদ : সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্ত রাষ্ট্রপতি সমগ্র বিচার বিভাগেই ক্যান্সার ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি যদি সংবিধান অনুযায়ী এসব না পারেন, তাহলে তিনি কি পদে থাকা উচিৎ কিনা আপাতত এ সিদ্ধান্ত উনাকে দিলাম। গতকাল বুধবার সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খোকন বলেন, আমাদের বিচারপতিরা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নেন। সংবিধান অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেন। উনারাকি বলতে পারেন রাষ্ট্রপতি উনাদের বলেছেন, এ জন্য উনারা বসবেন না? তারাতো উচ্চ আদালতে বিচার করেন। এই যে প্রেসনোট, আমরা মনে করি এটা উনাদেরই বক্তব্য। এটাকি উনারা বলতে পারেন? বিচারপতিদের অধিকার আছে বসবো না বলার? উনারাইতো বলেন, নিম্ন আদালতে কোন বিচারকরা যদি বসতে না চায়, কনটেম্পট অব কোর্ট হবে। শপথ ভঙ্গ হবে।
খোকন আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রেসনোটে বলা হলো। সেখানে বলা হলো আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। রাষ্ট্রপতি তাদের কাছে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। সেই কারণে উনারা বসবেন না। আমাদের প্রশ্ন হলো যে, দেশের রাষ্ট্রপতি কি ডাকতে পারেন? প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের ডাকতে পারেন কিনা? সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বলে উনি ডেকেছেন?
বার সম্পাদক বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতিকে সংঘটিত করে আইনি অভ্যুখান করতে প্ররোচনা দিতে পারেন? যদি তিনি পারেন তাহলে আমার মনে হয় বঙ্গভবন থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে জাতিকে জানানো উচিত যে, এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি পাঁচজন বিচারপতিকে ডাকতে পারেন। বিচারপতিদেরকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন আনা হয় সে ব্যবস্থা করতে পারেন। তিনি সংবিধানের অনুচ্ছেদ দেখাতে পারেন তাহলে আমরা উত্তর দিবো। সংবিধানতো একটাই। উনার জন্য একটা সারা বাংলাদেশের জন্য অন্যটা না। সবাই আইনের মধ্যে।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির অভিযোগ আনলেন। কোথায় অভিযোগ? একমাস পর্যন্ত দূর্নীতির অভিাগোগ আনতে পারলেননা। প্রধান বিচারপতি বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। শুধু সরকার বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ অভিযোগ এনেছে। আপনারা প্রেসনোটে যে কথাটা বলেছেন, সেটাকি বলা উচিত হয়েছে? কি অভিযোগ আপনাদের কাছে এলো সেটা আপনারা প্রকাশ করলেন না। এখানে ভোটাভোটির ব্যাপার না । আপনারা শপথ নিয়েছেন আপনারা বসবেন। এখানে মেজরিটি মাইনরোটি করতে হলে চাকরি ছেড়ে পার্লামেন্টে চলে যান।