ইসিতে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ১৯৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন
সাইদ রিপন : নির্বাচন কমিশনে (ইসি) রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ১৯৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন জমা পড়েছে। গত মঙ্গলবার আবেদনের সময় শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র। ইসির সহকারি জনসংযোগ পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭ অনুসারে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী বেসরকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিলো। যোগ্যতা সম্পন্ন সংস্থাগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে। আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরমে সচিব নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য (ঊঙ-১) ফরম ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে িি.িবপং.মড়া.নফ পাওয়া যাবে।
ইসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে নীতিমালা সংশোধন করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন ১৩৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। পরে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে নিবন্ধন নীতিমালা সংশোধন করে ১২০টি সংস্থাকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যাদের পাঁচ বছর মেয়াদকাল ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি না করে ওই সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সংস্থাগুলো মেয়াদকাল ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কে এম নুরুল হুদা কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পরে ২৮ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেয়। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু