৩০ টাকার টিকিটে ৩০ সেকেন্ড সময় পাওয়াও কঠিন বিএসএমএমইউর চর্ম-যৌনের বহির্বিভাগে
রিকু আমির : ৩০ টাকা মূল্যের টিকিট কেটে ৩০ সেকেন্ড সময় পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চর্ম ও যৌন বিভাগের বর্হিবিভাগে। গত দুই বছরের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৩৯টি বিভাগ-উপবিভাগের বর্হিবিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী আসেন চর্ম ও যৌন বিভাগে। ২০১৫ সালে বিভাগটি থেকে বর্হিবিভাগের মাধ্যমে সেবা নেন ৯৭ হাজার ৬৯০জন। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ তিন হাজার ৩১৬জনে।
গত কয়েকদিন সরেজমিনে চর্ম ও যৌন বিভাগের বর্হিবিভাগে প্রচ- রকমের ভীড় দেখা গেছে। বর্হিবিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায়- সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রোগী আসায় এতটুকু ভাটা পড়ে না। অন্য বিভাগের বর্হিবিভাগ খালি হয়ে গেলেও এখানে ঠিকই দীর্ঘ সারি থেকে যায়।
চারটি কক্ষ থেকে চর্ম ও যৌন বিভাগের বর্হিবিভাগ পরিচালিত হয়। প্রতিটি কক্ষে কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসার মিলিয়ে তিনজন থাকেন। সে হিসাবে এক মাসে ১২জন চিকিৎসকের রোগী দেখার কথা। কিন্তু ছুটি বা অন্য কারণে মাসে রোগী দেখেন ১০জন। এ হিসাবে ২০১৬ সালের প্রতিমাসে চর্ম ও যৌন বিভাগের বর্হিবিভাগে একজন চিকিৎসক রোগী দেখেছেন গড়ে ১০ হাজারেরও বেশি। বিভাগটিতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ডা. আবু নাসের। বৃহস্পতিবার তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রচুর রোগী আসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০০-১২০জন রোগী দেখতে হয়। এ বিভাগের একজন কনসালটেন্ট এ প্রতিবেদকের প্রশ্নে বলেন, এভাবে মানসম্পন্ন সেবা প্রদান খুবই কঠিন। একজন রোগীর সঙ্গে যে ধীরে স্বস্তি¡তে কথা বলব, সেটা অসম্ভব। রোগীকেও সন্তুষ্ট করা যায় না এতো স্বল্প সময়ে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের উপর এক ধরণের অনাস্থা জন্মে রোগীদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, চর্ম- যৌন বিভাগে বর্হিবিভাগের জন্য জায়গা বৃদ্ধির সুযোগ নেই। তবে অন্য বিভাগের মত এ বিভাগের চিকিৎসকরা বর্হিবিভাগে রোগীদের ওজন মাপা, প্রেসার চেক ইত্যাদি কাজ করতে হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখে দেখাই যথেষ্ট। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু