রাউজানে ইটভাটার মাটির জন্য কাটা হচ্ছে ফসলি জমি
কামরুল ইসলাম বাবু, রাউজান (চট্টগ্রাম) : দেশের প্রচলিত আইনে ফসলি জমি ও পাহাড় টিলা থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ থাকা স্বত্বেও প্রতিবছর শত শত একর ফসলি জমি ধংস করে ইটভাটার মাটির জোগান দিচ্ছে রাউজানসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ইটভাটাগুলো। এখানে প্রতিবছরই নতুন নতুন ভাটা সৃষ্টি করে ইট তৈরির জন্য কৃষি জমি ও পাহাড় টিলা থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, রাউজান পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে কমপক্ষে ৬০টি ভাটায় ইট পোড়ানো হয়। সবকটি ভাটায় ইট তৈরিতে মাটি জোগান দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি ও পাহাড় টিলা মাটি কেটে। এরকম ইটভাটা রয়েছে নদী ও খাল পাড়েও। এসব ভাটায় মাটির জোগান দিতে দেখা যায় খাল নদীর পাড় কেটে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রাউজানের অনেক ইটভাটা রয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাছাকাছি। এরকম ভাটাগুলোতে মাটির জোগান আসে পাহাড় টিলার মাটি ও কৃষিজমি থেকে। স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো কোনো ইটভাটার কৃষিজমি থেকে মাটি সংগ্রহ করতে গিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটও হুমকির মধ্যে ফেলেছে ভাটা মালিকরা। রাস্তার পাশের জমি থেকে গভীর কুপ করে মাটি কাটতে গিয়ে ওসব রাস্তা ধসে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে হলদিয়া ইউনিয়নের বৃক্ষভানুপুর এলাকায়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
হালদা নদীর পাড় ও কৃষিজমি কেটে ইটভাটার মাটি জোগান দেয়ার ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেছে গহিরার ফতেনগর এলাকায়। হাটহাজারীর এলাকার জনৈক ব্যক্তি এখানে ইটভাটার মাটি জোগান দিতে হালদা নদীর পাড় কেটেছে পাশাপাশি কয়েক একর কৃষি জমিতে পুকুর ডোবা করেছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের হালদার চর ও কাগতিয়ার কাছিমনগরে। কৃষিজমি কেটে মাটি কাটার ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে রাউজান পৌর এলাকা, রাউজান ইউনিয়ন, ডাবুয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ইটভাটায়ও। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান