সবজির দাম বাড়তি তবে কমেছে মুরগির
অর্থনৈতিক ডেস্ক : রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি প্রচুর যোগান থাকার পরও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। শীত মৌসুম শুরু বলেই দাম বাড়তি বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, সিন্ডিকেটের কারণেই কমছে না সবজির দাম। তবে মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল, পলাশী বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি রয়েছে। অর্থসূচক
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা কমে আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫, লেয়ার মুরগি ১৭০-১৭৫, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট দেশি মুরগির দাম আগের বাড়তি দামে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। এদিকে আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আজকের বাজারে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়তি হলে কাঁচা মরিচে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৪০ টাকা কমে আজকের বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। বাজারে এই দামের সঙ্গে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেছে। টিসিবির মূল্য তালিকায় দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগী ১২০-১৩০ টাকা এবং দেশি মুরগী ৩৫০-৩৮০ টাকা। পলাশী বাজারের ব্যবসায়ী রতন বলেন, নতুন মৌসুমের অল্পস্বল্প সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে এখন একটু দাম বেশি; তবে আমদানি বেড়ে গেলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন কেজি প্রতি ৮০-১০০, শিম ১২০, হাইব্রিড টমেটো ১৬০, দেশি টমেটো ১০০, শশা ৬০, চাল কুমড়া ৫০-৫৫, কচুর লতি ৬০-৬৫, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, করলা ৭০, কাকরোল ৬০, পেঁপে ৪০-৫০, কচুরমুখী ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতিটি ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৩৫ এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০, পালং শাক আঁটি প্রতি ২০, লালশাক ২০, পুঁইশাক ৩০ এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কিছুটা বাড়লেও আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। ভোজ্য তেলের দাম আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০, প্রতি লিটার বোতল ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি চালের দামও। আজকের বাজারে মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, পারিজা চাল ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৬-৫৮ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় বিআর-২৮ ৪৮ টাকা, দেশি বিআর-২৮ ৫২ টাকা, নাজিরশাইল (কাটারি) ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল (নরমাল) ৬৫ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম