আন্তর্জাতিক ফোরামে একই সঙ্গে পথ চলবে ঢাকা-কলম্বো
তরিকুল ইসলাম : জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একই সঙ্গে পথ চলবে ঢাকা-কলম্বো। এখন থেকে উভয় দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফোরামগুলোতে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত এ দুই প্রতিবেশী দেশ। উভয় দেশের পার্লামেন্টের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে গ্রুপ গঠন, নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা ছাড়াও বিমসটেক এবং সার্কে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে ঢাকা-কলম্বো। আর এতে করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার ঢাকা সফরে হাইপ্রোফাইল বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আগামীর পথ চলার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনায় সম্মত হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। সেখানে বলা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ। সেসময় হাসিনা-সিরিসেনা হাই প্রোফাইল বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে উভয় দেশের মধ্যে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির নৌবন্দর ব্যবহারের সুযোগ বাড়লে পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ব্যয় এবং সময় কমে যাবে। তবে এ নিয়ে এখনো গতিশীলতা আসছে না, সময় লাগবে। শ্রীলঙ্কা যদি তাদের বন্দর ব্যবহারে চার্জ নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেয় তবে রফতানিতে বাংলাদেশ বেশ লাভবান হবে। বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ এফটিএ চুক্তিটি চলতি বছরের মধ্যেই স্বাক্ষরে নীতিগত সিদ্ধান্ত হওয়ায় মুক্ত বাণিজ্য পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী যে নৃশংসতা চালিয়েছে, সে ঘটনায় ২৫ মার্চকে বাংলাদেশে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়ে পাশে দাঁড়াবে দেশটি। তাছাড়া উভয় দেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়, সহিষ্ণুতা, অন্তর্ভুক্তি, বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ নিয়েও কাজ করবে। এছাড়া উভয় দেশ বস্ত্রখাত, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে সহায়তায়ও ঐক্যমতে পৌঁছেছে। দেশটিতে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের নিবন্ধন সহজ করার বিষয়েও আশাবাদী ঢাকা। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ