সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতে হবে
খুশি কবির
সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ এই একই ধরনের ঘটনা রামুতেও আগে ঘটেছে। সেখানে মন্দিরগুলো পুড়িয়ে ছিল, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের ঘরবাড়ি পুঁড়িয়ে দিয়েছিল। এরকম নাছির নগরেও ঘটেছে। এই বিষয়গুলো সবই উসকানিমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল। যদি ধর্ম অবমাননার ঘটানা ঘটে এর বিরুদ্ধে আইন আছে, সংবিধান আছে। কিন্তু এটাতো ওরা ফেসবুকের অপব্যবহার করে। যা থেকে জাতি মনে করে, এসব ব্যক্তিরা আসলেই অপরাধী। সংখ্যালঘুরা ধর্ম অবমাননা করেছে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেয়, কিছু মৌলবাদীরা। এটা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ধ্বংস করার অপচেষ্টা। আমি বলব যে, সরকারের এই বিষয়ে ভালোভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। না হলে তাদের এই হামলা, অপপ্রচার বন্ধ হবে না। তাদের এই অপপ্রচার গুলো শুধু ফেসবুকে নয়, সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের সংস্কৃতিকে নষ্ট করা হচ্ছে। আর এখানে কাজ করছে একটি বড় মৌলবাধী চক্র। যারা আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করার জন্য উঠেপরে লেগেছে। আর এই দেশে যারা সংখ্যাঘরিষ্ঠ নয়, তাদের কে চাপ সৃষ্টি করে এসব ঘটনা গুলো ঘটানো হচ্ছে। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার ঘটনাগুলো সবই বানানো, উসকানিমূলক, অপপ্রচার। জণগনেরও এই বিষয়টা বুঝা উচিত। একটা ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখেই সত্য-মিথ্য যাচাই না করে, কাউকে অপরাধী ভেবে এরকম ঘটনা ঘটানো ঠিক নয়। সবশেষে বলব, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতে হবে।
পরিচিতি : মানবাধিকার কর্মী
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ