আট বছরের সর্বনিম্নে স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা
ডেস্ক রিপোর্ট : কয়েক বছরের মধ্যে শুধু ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছিল। নিম্নমুখিতার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও মূল্যবান ধাতুটির বৈশ্বিক চাহিদা আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ কম। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বণিক বার্তা
ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে স্বর্ণের মোট বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ৯১৫ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৬ দশমিক ১ টন বা ৯ শতাংশ কম। ২০১৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে মূল্যবান ধাতুটির মোট বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ১ হাজার ১ দশমিক ১ টন। আট বছরের মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকে এটা পণ্যটির সর্বনিম্ন বৈশ্বিক চাহিদা। এ সময় অলঙ্কার হিসেবে স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণালঙ্কারের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ৪৭৯ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ টন কম। ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে স্বর্ণালঙ্কারের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ৪৯৫ টন। অন্যদিকে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণের বার ও কয়েনের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় বার ও কয়েন বাবদ স্বর্ণের চাহিদা ছিল ২২২ দশমিক ৩ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ১ টন। ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে বার ও কয়েন বাবদ স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ১৯০ দশমিক ২ টন। মূলত অন্যতম শীর্ষ ভোক্তা দেশ চীনে বার ও কয়েন বাবদ পণ্যটির বাড়তি চাহিদা মোট বৈশ্বিক চাহিদার পরিমাণ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনে বার ও কয়েন বাবদ স্বর্ণের চাহিদা ছিল ৬৪ দশমিক ৩ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি। ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে চীনে বার ও কয়েন বাবদ স্বর্ণের চাহিদা ছিল ৪১ টন। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে চাহিদার পরিমাণ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩ টন। সম্পাদনা : মোনা হক