‘মুক্তি পায়নি গণতন্ত্র বিচরণ করছে স্বৈরাচার’
ফাহিম ফয়সাল : নূর হোসেনের বুকে পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। কিন্তু বাস্তবে গণতন্ত্র মুক্তি পায়নি, স্বৈরাচারই মুক্ত হয়ে বিচরণ করছে। সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ টকশোতে গত শুক্রবার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিলো তাদের ৩ জোটের রূপরেখায় অবাধ নির্বাচনের কথা ছিলো। সাথে গণতন্ত্রের সাংস্কৃতিক বিকাশ হবে এবং গণতন্ত্রের চর্চা আরও বাড়ানোর কথা ছিলো। সেইটাকে ধরে ৩ জোটের রূপরেখার পাশাপাশি ৯ দফা আচরণবিধি স্বাক্ষর করা হয়েছিলো। সেই আচরণবিধির অন্যতম ছিলো স্বৈরাচার বা তার দোসরদের কেউ আশ্রয় দিবে না। যারা বাংলাদেশের শাসকদল, যারা ক্ষমতায় আসে তারা স্বৈরাচারদের প্রশ্রয় দিয়েছে। একটি দল ৭১’র ঘাতকদের প্রশ্রয় দিয়েছে, আরেকটি দলে স্বৈরাচারই প্রধান হয়ে আছে। নূর হোসেনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়নি। নূর হোসেন চত্বরটা সবসময় ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ঢাকা থাকে।
টকশোতে ৭১ টেলিভিশনের বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, নূর হোসেন আত্মত্যাগ করেছিলেন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য। সেই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন। স্বৈরাচার কিন্তু মুক্ত অবস্থায় আছে। সরকারে স্বৈরাচার আছে, বিরোধী দলে স্বৈরাচার আছে। তখন একটা কথা ছিলো এই স্বৈরাচার এরশাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গকে কেউ দলে আশ্রয় দিবে না। এখন তাদের সানন্দে গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে, প্রশিক্ষণ বেড়েছে। এমন পুলিশ বাহিনী থাকতে মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে এটা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব এবং সবার নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব সরকারের। কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়ে থাকেন, তাকেও খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন