আলোর নিচেই অন্ধকার, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা
তৌহিদুর রহমান নিটল ও সন্তোষ সূত্রধর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চর-সোনারামপুর গ্রাম। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এর অবস্থান। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই পেশায় জেলে ও দিনমজুর। বর্তমানে এখানে বসবাস করছে প্রায় ৮ হাজার মানুষ ।
ভৌগলিক কারণে নদীর মাঝখানে এর অবস্থান হওয়ায় দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এ গ্রামে আধুনিকতার তেমন ছোঁয়া খুব বেশি লাগেনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকা। এখানে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল। স্কুলটিতে প্রায় তিন সহ¯্রাধিক ছাত্র – ছাত্রী রয়েছে। প্রায় ঘরে রয়েছে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে এখনকার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে। সংসারের দৈনদিন কাজের মত দিনের আলোর মাঝেই পড়াশুনার কাজটুকু সেরে নিতে হচ্ছে। এতে করে ঝরে যাচ্ছে অনেক মেধাবী ভবিয্যত। ভুক্তভোগী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, চোখের সামনে নদীর দু’পাড়ে বিদ্যুৎতের আলোর জলমল রশ্মি দেখা যায় । কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে ব্যয়বহুল জ্বালানি দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে প্রাত্যহিক কাজ সারতেই তাদের বেগ পেতে হচ্ছে ।এ অবস্থায় কেরোসিনের আলো জ্বেলে রাতের বেলা পড়াশুনা করা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তবে কিছু কিছু স্বচ্ছল পরিবারে সৌর প্যানেল ব্যবস্থা থাকলেও রাতের বেশি সময় এই আলো ব্যবহার করে পড়াশুনার কাজটুকু সম্পন্ন করা যাচ্ছে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চন্দন কুমার সূত্রধর বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । সম্পাদনা : মুরাদ হাসান