সৌদি হত্যাকা-ের শিকার হতে পারেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হাদি!
মোহাম্মদ রকিব হোসেন : ইয়েমেনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি আরবে অবস্থানরত ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি দেশে ফিরতে চাইলে তাকে হত্যা করা হতে পারে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইয়েমেনি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম হাদিকে গৃহবন্দী আখ্যা দিলেও সৌদি দাবি অনুযায়ী যে কোনও স্থানে যাওয়ার অধিকার রয়েছে তার।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সৌদি আরব কর্তৃক আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে গৃহবন্দী করার কথা জানানো হয়। একইসঙ্গে তার কয়েকজন পুত্র, দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী আর সেনা কর্মকর্তাকেও গৃহবন্দি করারও খবর দেয় আল জাজিরা। সৌদি আরবের আঞ্চলিক মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি’র টানাপড়েনকে এর নেপথ্য কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে।একই সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ১২ নভেম্বর তারিখের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে চাইলে হাদি হত্যাকা-ের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে ইয়েমেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের উত্থানের মুখে মিত্র দেশ সৌদি আরবে পালিয়ে যান আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি। এরপর তিনি সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজের কাছে কয়েক দফায় নিজ দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই অনুরোধ কোনও কাজে আসেনি। আগস্টে দেশে ফেরার জন্য রিয়াদ বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এরপর ৭ নভেম্বর তার গৃহবন্দিত্বের খবর আসে। সৌদি আরব এই খবরটি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইয়েমেনি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারাও হাদিকে গৃহবন্দী মনে করছেন না। ‘হাদির গৃহবন্দিত্বের খবরটা একেবারেই ভুয়া। সৌদি আরবের বাইরে যেতে সক্ষম তিনি। আসলে তিনি যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। তবে ইয়েমেনে ফিরলে হত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তার।’ আল জাজিরাকে বলেছেন তিনি। যে আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি’র পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি জোট ইয়েমেনে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে খোদ সৌদিতেই তার গ্রেফতার তাই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি নিজ দেশে কর্তৃত্ব হারানোয় তাকে এখন ছুঁড়ে ফেলতে চাইছে তার মিত্ররা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমিরাতের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক টানাপড়েন। ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাত।