ড. আহমদ মোশতাকের মেডিকেল অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স পুরস্কার গ্রহণ
তাসকিনা ইয়াসমিন : শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রোনাল্ড ম্যাকডোনাল্ড হাউস চ্যারিটিজ (আরএমএইচসি) এ বছর ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীকে ‘মেডিকেল অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স ২০১৭’ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন। ১১ নভেম্বর ২০১৭ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়টি তাঁকে অবহিত করা হয়। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, রুয়ান্ডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বিনাগোয়াহো, জর্দানের রানি নূর প্রমুখ।
আরএমএইচসি পুরস্কার বিজয়ীর সম্মানে তাঁর নির্বাচিত কোনও অলাভজনক বেসরকারি সংস্থাকে এক লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করবে। উন্নয়নশীল বিশ্বে তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং কমিউনিটি পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর অসংখ্য সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে, ১৯৮০’র দশকে বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও ব্র্যাক পরিচালিত খাবার স্যালাইন তৈরির পদ্ধতি প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রকল্পে তিনি নেতৃত্ব দেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর জনসংখ্যা ও পারিবারিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ ছাড়া তিনি নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন ও ইথিওপিয়াতেও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সার্বিক কল্যাণে কাজ করেছেন।
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা আরএমএইচসি বর্তমানে বিশ্বের ৬৪টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শিশুর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন
অফ এক্সিলেন্স ২০১৭’ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন। ১১ নভেম্বর ২০১৭ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়টি তাঁকে অবহিত করা হয়। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, রুয়ান্ডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বিনাগোয়াহো, জর্দানের রানি নূর প্রমুখ।
আরএমএইচসি পুরস্কার বিজয়ীর সম্মানে তাঁর নির্বাচিত কোনও অলাভজনক বেসরকারি সংস্থাকে এক লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করবে। উন্নয়নশীল বিশ্বে তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং কমিউনিটি পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর অসংখ্য সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে, ১৯৮০’র দশকে বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও ব্র্যাক পরিচালিত খাবার স্যালাইন তৈরির পদ্ধতি প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রকল্পে তিনি নেতৃত্ব দেন। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত লাখ লাখ মা খাবার স্যালাইন তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যা দেশে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর জনসংখ্যা ও পারিবারিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ ছাড়া তিনি নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন ও ইথিওপিয়াতেও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সার্বিক কল্যাণে কাজ করেছেন।
তিনি রকফেলার ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে একাধিক প্রতিষ্ঠান গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স প্রতিষ্ঠা, মেকং বেসিন ডিজেজ সার্ভিলেন্স (এমবিডিএস) শীর্ষক নেটওয়ার্ক গঠন এবং ভিয়েতনামে বেসরকারি খাত বিষয়ে গবেষণা ও সমীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা আরএমএইচসি বর্তমানে বিশ্বের ৬৪টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শিশুর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।