রাজধানীতে কোটি টাকার চোরাই মোবাইলসেট জব্দ
মাসুদ আলম : চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারে রাজধানীর গুলশান, বসুন্ধরা সিটি মার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকার কয়েকটি মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ সময় আমদানি নিষিদ্ধ অত্যাধুনিক ড্রোনসহ এক কোটি টাকা সমমূল্যের ২ শতাধিক মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরা মার্কেটের ৯ টি, গুলশান এভিনিউর ১টি ও ধানমন্ডির অরচার্ড পয়েন্টে ১টিসহ মোট ১১টি দোকানে পুলিশ ও বিটিআরসি কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, মার্কেটগুলোতে অভিযান চালিয়ে চোরাইপথে আনীত ১৫টি আইফোন-১০, অন্যান্য মডেলের ১১৮টি আইফোন, ৮টি এপল আইপ্যাড, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৮সহ ৫৮টি, ২টি নোকিয়া ও ২টি ব্লাকবেরিসহ বিভিন্ন মূল্যবান ব্র্যান্ডের প্রায় ২ শতাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা। এছাড়া ১৭ লাখ টাকা সমমূল্যের ভারতু ব্রান্ডের একটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। এই সেটটি স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো এবং এর স্ক্রিনটি সলিড নীলকান্তমণির তৈরি। এছাড়া একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। যা বর্তমানে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য।
মইনুল জানান, কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ধারণা করা হচ্ছে এসব ফোনসেট অবৈধপথে এবং শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা হয়েছে। বিটিআরসির কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে আটককৃত সেটসমূহের আইএমইআই পরীক্ষা করে এগুলো নিবন্ধিত নয় বলে প্রত্যয়ন করেন। এই সেটগুলোতে শুধুমাত্র রাজস্ব ফাঁকি-ই দেয়া হয়নি, আইএমইআই নিবন্ধিত না থাকায় এগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিটিআরসি-র নিবন্ধন না থাকার কারণে এগুলো কোন সরকারি সংস্থা আইনগতভাবে ট্র্যাক করতে পারে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির নজরদারি এড়িয়ে এই সেটগুলো ব্যবহার করে যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হতে পারে।
মইনুল আরও জানান, আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ অনুযায়ী, বাংলাদেশে যেকোন মোবাইল ফোনসেট বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করতে হলে বিটিআরসি থেকে সেগুলোর আইএমইআই নম্বর পূর্বেই নিবন্ধিত করার বিধান রয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম