‘লাইফ সাপোর্টে’ ভাষা সংগ্রামী মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভাষা সংগ্রামী মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ‘লাইফ সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহর মেয়ে সাংবাদিক শান্তা মারিয়া এ প্রতিবেদককে এই তথ্য জানিয়েছেন। এসময় শান্তা মারিয়া বলেন, আর কিছু বলার নাই। শুধু আপনারা সবাই দোয়া করেন।
৯১ বছর বয়সী তকীয়ূল্লাহ ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত মাসে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা তাকে আইসিউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। এরপর দফায় দফায় শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার। গতকাল বেলা বিকাল ৩টায় তকীয়ূল্লাহকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এর আগে প্রথম দফায় হাসপাতালে ভর্তি হলে শান্ত মারিয়া জানিয়েছিলেন, তকীয়ূল্লাহ নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। এছাড়া গত বছর হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর থেকে তার হার্টও দুর্বল।
পরবর্তীতে তার নিউমোনিয়া আরও ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের অবস্থার অবনতি ঘটে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিবারকে জানান। তকীয়ূল্লাহ ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদল্লাহর চতুর্থ ছেলে। বর্তমানে বাংলাদেশ যে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, তার সংস্কার হয়েছিল তকীয়ূল্লাহর হাত দিয়েই। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের যেসব ছবি এখন পাওয়া যায়, সেগুলো তারই তোলা। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে কাটাতে হয় সে সময়ের এই বাম নেতাকে। চল্লিশের দশক থেকে দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ। তিনি ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম